লালমোহনে শ্বশুরের হামলায় যুবলীগ নেতা আহত
স্টাফ রিপোটর।
ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের হামলায় যুবলীগ নেতা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে । ১৯ নভেম্বর বিকাল চারটায় লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৭ নং ওর্য়াডের নতুন দালাল বাজার এলাকার দালাল বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে । হামলায় আহত জাকির হোসেন কামলা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক এবং দ্বীপ বন্ধু ঐক্য পরিষদের ইউনিয়ন সভাপতি । হামলায় আহত যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
আহত যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন বলেন আমার স্ত্রী আকলিমা বেগম বিয়ের পর থেকে আমার সাথে ছোট খাটো বিষয় নিয়ে খুব খারাপ ব্যবহার করত এবং সব সময় শুধু টাকা চাইতো। তার চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারলে সে আমাকে গালিগালাজ করতো। আমি লজ্জায় কখনো কাউকে বলিনি। গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে আমি বাড়ি ফিরলে আমার স্ত্রী আমার কাছে কিছু টাকা দাবি করে এবং আমার শ্বশুরের কাছ থেকে পাওনা ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দাবি করতে নিষেধ করে। এ বিষয় নিয়ে তার সাথে আমার তর্কার্তকি হয়। তর্কার্তকির এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। প্রায় দেড় ঘন্টা খানেক পরে আমার স্ত্রী আমার শশ্বুর লালমোহন পৌর ১নং ওয়াডের হাজারী বাড়ির বাসিন্দা ফজলু হাজারী, আমার শালা নাইম হাজারি ও আমার শাশ্বুরী এবং আমার চাচাতো ২ শালা সহ আরে ৮-১০ জন লোক নিয়ে আমার বাড়িতে আসে। তখন আমার শশ্বুরের সাথে আমার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার শশ্বুর আমাকে বেধড়ক কিল ঘুষি মারতে থাকে এবং আমার শালা আমার উঠানে থাকা লাকড়ি দিয়ে আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে লাঠির আঘাতে আমি জ্ঞান হারাই। আমি জ্ঞান ফিরে দেখি আমি হাসপাতালে ভর্তি। পরে জানতে পারলাম প্রতিবেশীরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে এবং হামলাকারীরা আমার এ্যপাচি আরটিআর মোটরসাইকেল এর তালা ভেঙে আমার মোটরসাইকেল টি নিয়ে গিয়েছে।
আহত জাকির হোসেন আরো বলেন এর আগে ও ২০১৪ সালে আমার শশ^ুর ও শালা আমাকে মেরে আহত করেছিল। এ হামলার ঘটনায় আমি আইনি সহায়তা নেব।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইমাম হোসেন বলেন যুবলীগ নেতা জাকিরের উপর হামলার ঘটনাটি শুনেছি। উপজেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে আমি এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির বলেন আমার কাছে এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ফজলু হাজারীর সাথে কয়েকবার যোগাযোগের চেস্টা করেও সম্ভব হয়নি।