পুরাতন ভবনেই ৩ গুন বেশি রোগী নিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা!

বিগত চার বছর ধরে আড়াইশো শয্যার জন্য নির্মিত নতুন আট তলা ভবন রেখে জনবলের অভাবে পুরাতন ভবনেই চলছে ভোলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম ।

দ্বীপজেলা ভোলার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ধারণ ক্ষমতার ৩গুন বেশি রোগী, ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন প্রায় সাড়ে ৩শত এর কাছাকাছি রোগী। শয্যা সংকটে ভোলা সদর হাসপাতালের মেঝেতে বেশীরভাগ রোগীতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ডেঙ্গু, ডায়রিয়া ও শিশুদের নিউমোনিয়া রোগীদের চাপ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। তবে নিউমোনিয়ার প্রকোপ তুলনামূলক বেশি। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে গত এক মাসে জেলায় ৪৮৮ জন শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩২ জন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত গত এক সপ্তাহে ২৭৫ জন। হঠাৎ করেই ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় অনেকটা হতাশাগ্রস্ত হয়েছে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও হাসপাতালে এ রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট রাখা হয়নি, এতে হাসপাতালে থাকা অন্য রোগীদের রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিন শতাধিক রোগী। এতে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নিউমোনিয়া আক্রান্ত ১১ জন, ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬জন এবং ডায়রিয়া আক্রান্ত অর্ধশত হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভোলায় ক্রমান্বই বাড়ছে ডেঙ্গু, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপের পরিপেক্ষিতে চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে রোগ বাড়ছে। এতে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরা। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আটজনসহ এরই মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ৪০ জন রোগী। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আরও চারজন। অন্যদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ এবং গরমের প্রভাবে বেড়েছে ডায়রিয়া ও শিশুদের নিউমোনিয়া। ফলে শয্যা সংকট দেখা যাওয়ায় রোগীরা মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেড়েছে রোগীর চাপ। তবে ডেঙ্গু নিয়ে অনেকটা চিন্তিত রোগীর স্বজনরা। কারণ এ রোগীদের জন্য নেই আলাদা কোনো ইউনিট। একাধিক রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা ইউনিট রাখা হয়নি, এতে অন্য রোগীরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এদিকে হাসপাতালটিতে শিশু এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে অবস্থা অনেকটা নাজুক। সেখানে রোগীদের চাপ বেড়েই চলছে। এতে আতঙ্কিত রোগীর স্বজনরা। এ অবস্থায় হাসপাতালের পরিবেশ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর স্বজনরা। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মোহাম্মদ লোকমান হাকিম রোগী বাড়লে ডেঙ্গুর জন্য আলাদা ইউনিট খোলার কথা জানিয়ে বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণেই রোগীদের চাপ বাড়ছে। তবে আমরা পর্যপ্ত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

মার্চ ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« ফেব্রুয়ারি    
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।