মনপুরায় স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধি।

মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে কথা-কাটাকাটির জের ধরে নারীসহ তিন জনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । গত ১১ জুন দুপুর ২ টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে । হামলায় আহত নারী মোসাম্মৎ শাহিনুর বেগম অভিযোগ করে বলেন আমার স্বামী মোঃ বেলায়েত হোসেন মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা। গত ১১ ই জুন দুপুরের দিকে আমার স্বামী বেলায়েত হোসেন ও আমার ছেলে মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন এর সাথে মসজিদের ভিতরে বসিয়া আমার একই এলাকার ভূঁইয়ার হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন, শিক্ষক বেলাল, মনির ও মান্নান এর সাথে মসজিদের বিষয় নিয়ে সামান্য বিরোধ ও কথা-কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে বেলাল মনির ও মন্নান আমার স্বামী ও ছেলেকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিয়া জখম করে । ওই ঘটনার পরে ওই দিনই ১১ জুন দুপুরবেলা হোসেন গংরা নামাজ পড়ে মসজিদ হতে বের হয়ে পশ্চিম পাশে রাস্তায় পৌঁছানো মাত্রই আমি হোসেন, বিল্লাল, মনির ও মান্নানকে জিজ্ঞেস করলাম কেন তারা অযথা আমার স্বামী ও আমার ছেলে কে মারলো? জিজ্ঞেস করা মাত্রই শিক্ষক হোসেন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে । আমি তাদেরকে গালমন্দ করতে নিষেধ করলে শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন উত্তেজিত হয়ে আমার ডান কানে সজোরে লাঠি দিয়ে বাড়ি মারে এতে আমার কানের পর্দা ফেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। তখন আমি মাটিতে পড়ে গেলে বেল্লাল আমার কাপড় ছিড়িয়া শ্রীলতাহানি করে । তখন হোসেন আমার গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন (মূল্য আনুমানিক ৩৫ হাজার টাকা) নিয়ে যায় । তখন আমার ডাক চিৎকারে মসজিদে অবস্থান করা মোহাম্মদ আবু, মান্নান ও হাজী মোহাম্মদ উল্লাহ সহ আরও ৪-৫ জন মুসল্লি এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন । আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে থানায় অভিযোগ করতে কয়েক দিন সময় লেগে যায় ।আমি ৯ জুলাই তারিখে মনপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে যাহার নং ৫- ৯/২১। আমি দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি।

হামলায় আহত শাহিনুর বেগম আরো বলেন আমার পরিবারকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে  মোহাম্মদ হোসেন গংরা আমার স্বামী বেলায়েত ও আমার ভাগিনা সুফিয়ান, আমার ছেলে সাফায়েত ও ইব্রাহিম সহ আরো তিন চার জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে হোসেন। আমি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী করছি ।

ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রব বলেন গত ১১ জুন মসজিদের ভিতরে দু’পক্ষের মারা মারির ঘটনা আমার সামনে হয়েছে। আমি দু পক্ষকেই থামানোর চেষ্টা করেছিলাম । এবং বলেছি সালিশের মাধ্যমে উপযুক্ত সমাধান করে দেব । কিন্তু তারা যৌন পক্ষে থানায় মামলা করেছে । এখন প্রশাসন তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে শুনেছি ।

এ বিষয়ে হামলাকারী অভিযুক্ত হোসেনের কাছে হামলা ও স্বর্ণের চেইন লুটপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন ।

মনপুরা থানার অফিসার্স ইনচার্জ বলেন এ হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়ায় আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।