সরকারী নিয়ম মানতে নারাজ ভোলার ব্যাংকের হাট আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ
স্টাফ রিপোটার , আমাদের ভোলা.কম।
ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট আলিম মাদ্রাসায় সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে অধ্যক্ষ চালাচ্ছেন তার নিজের মনের মত করে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার আর সেই সরকারের সকল নিয়মকানুন তোয়াক্কা না করে মনের মত করে চালাচ্ছেন অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম।
অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম সরকারী নিয়মের বাহিরে ঐ মাদ্রাসা পরিচালনা করেন এবং বিশেষ দিন একুশে ফেব্রুয়ারি, ২৬শে মার্চসহ কোন অনুষ্ঠানই পালন করেন না অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম। সর্বশেষ গত ২২ এপ্রিল পবিত্র শবে বরাতের জন্য দেশের সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে ও নিজের ইচ্ছা মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় আসতে বাধ্য করেন অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম। এই প্রতিবেদক গতকাল সকাল ১১ টায় মাদ্রাসায় গিয়ে খোলা ও শিক্ষার্থী দেখে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ফোন দিলে সাথে সাথে শিক্ষা অফিসার অধ্যক্ষকে জানালে তিনি তড়িঘড়ি করে মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে দেয়।
এই সময় এই প্রতিবেদক তার লাইব্রেরী কক্ষে গিয়ে দেখেন তিনি অধ্যক্ষ ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতার ২২ তারিখের উপস্থিতি প্লুড দিয়ে মুছে দিচ্ছেন এবং এই প্রতিবেদককে দেখে তিনি বলেন এমনেই আজ খোলা রেখেছি। তবে তার অফিস সহকারী আবদুল্লাহ বলেন সরকারী সব নিয়ম মানতে হবে এমনতো নয়। আবদুল্লাহ’র বাবা ঐ মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী কালিমুল্লাহ জানান, হুজুরে আজ খোলা রেখেছে। তবে কি কারণে খোলা রেখেছে তা আমি জানি না।
স্থানীয়রা জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দিবস পালন করলে দেশ ও ইতিহাস সমন্ধে জানতে পারতেন। কিন্তু অধ্যক্ষ সিরাজুল তা না করে নিজের মত করে চালাচ্ছেন মাদ্রাসাটি। সরকারী কোন দিবসে তিনি প্রতিষ্ঠান খোলা রাখেন না। নিজের ইচ্ছে মত মাদ্রাসাটি চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি আবদুল হাই মাষ্টার জানান, আগে কোন দিবস পালন করতো না। পরে আমি মিটিং করে ব্যবস্থা করেছি এবং আজকে মুসলমানদের এমন একটি পবিত্র দিনে মাদ্রাসা খোলা রাখা দুঃখজনক। আমি মিটিং করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিহাদ হাসান জানান, আমি অধ্যক্ষকে বকাঝকা করেছি। তিনি আমাকে স্বীকার করেছেন খোলা রাখার কথা।