উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ইমামের চোখে মরিচের গুঁড়া দিল তিন বোন

নিউজ ডেস্ক , আমাদের ভোলা.কম।

মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মসজিদে ঢুকে ইমামের চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করেছেন তিন নারী । এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (১০ এপ্রিল) চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ কুটির বাজার জামে মসজিদে ফজরের নামাজের সময়। অভিযুক্ত ওই ইমামের নাম ছৈয়দ আহমেদ।

এ ঘটনায় এলাকার মুসল্লিরা হামলাকারী নারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

এ বিষয়ে ওই মসজিদের সহ-সভাপতি ও মেয়েদের বাবা বলেন, আমার এক মেয়েকে হুজুর (ইমাম) উত্ত্যক্ত করে আসছিল। মুসল্লি ও এলাকাবাসী যে অভিযোগ করছে তা ভিক্তিহীন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আমার আরেক মেয়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ইমামের প্ররোচনায় এলাকাবাসী তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। আমার মেয়েকে প্রথমে ফরিদগঞ্জ ও পরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এলাকাবাসী বশির আহমেদ ও তানভীর হোসেন জানান, বুধবার কুটিরবাজার জামে মসজিদে মো. সৈয়দ আহাম্মেদ প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজের জামাত পরিচালনা করছিলেন। এ সময় মসজিদ সংলগ্ন বাড়ির তিনজন নারী বোরকা পরে মসজিদে প্রবেশ করে প্রথমে ইমামের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। এরপর তারা ইমামকে জি আই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তাৎক্ষণিক মুসল্লিরা হামলাকারী নারীদের আটক করেন। তবে পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

ওই মসজিদের মোয়াজ্জিন সিরাজউল্যা জানান, ইমামের সঙ্গে ওই পরিবারের এক মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দিলে ইমাম তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর থেকে ওই পরিবার তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। মসজিদ কমিটির কাছে ইমাম সাহেব নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন হুজুরের চোখে মুখে মরিছের গুঁড়া ছিটিয়ে জি আই পাইপ দিয়ে আঘাত করার সময় আমরা হুজুরকে উদ্ধার করি। পরে তাকে চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম ছৈয়দ আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে শুক্রবার সকালে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রকিব জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।

(সূত্র – র্পূব পশ্চিম)

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।