হস্তান্তরের ২১ মাসেও চালু হয়নি ভোলার ২৫০ শয্যার হাসপাতাল

অমিতাভ অপু।

ভোলায় অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি হস্তান্তরের ২১ মাসেও চালু হয়নি। কেন চালু হচ্ছে না এর সঠিক উত্তরও নেই স্বাস্থ্য বিভাগে। মুমূর্ষু রোগীরা চিকিৎসা ছাড়াই মারা যাচ্ছেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যাসহ করোনা আক্রান্ত রোগীদের পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে বরিশালে। এক ব্যবসায়ীকে রোববার বরিশালে পাঠালে পথিমধ্যেই তিনি মারা যান। এমন মৃত্যু প্রতিদিনের। সেন্ট্রাল অক্সিজেন, আইসিইউ, ভেন্টিলেশনসহ ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি এ মুহূর্তে চালু করা এখন সময়ের দাবি।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১ জুলাই ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ভবনটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সাবেক সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, তার সময়কালেই এটি হস্তান্তর হয়েছিল। এমন কি ওই সময় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম, বার্ন ইউনিট ও কিডনি ইউনিট চালুর অনুমতি দেয়া হয়। এ ছাড়া ২৫০ শয্যার হাসাপাতালের জন্য জনবল অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ২১ মাসে এটি চালু না হওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলেও জানান সাবেক ওই সিভিল সার্জন।

বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, মন্ত্রিপরিষদ থেকে চালুর অনুমতি না পাওয়ায় হাসপাতালটি চালু হচ্ছে না। তিনি জানান সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালু হয়েছে। তবে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা সুবিধা পাবেন মাত্র তিনজন রোগী। প্রশ্ন হচ্ছে যদি সেন্ট্রাল অক্সিজেন চালু হয়, সব রোগীই ওই সুবিধা পাওয়ার কথা। তিনজন কেন? এর সঠিক উত্তরও নেই ওই দপ্তরে। গত বছর কোভিড-১৯ এর মহামারিতে দ্বীপ জেলা ভোলায় ভয়াবহতা দেখা দিলে সরকার জরুরিভাবে ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ভবনে আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে। এতে দ্বীপ জেলা ভোলার ৭টি উপজেলাসহ বরিশাল থেকেও পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়। ৬ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে রিপোর্ট। কিন্তু করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের এখানে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে স্বাধীনতার পর স্থাপিত ভোলার ১০০ শয্যার হাসপাতালে রোগীর চাপ এতটাই বেশি প্রতিনিয়ত দুই শতাধিক রোগী ফ্লোরিং করছেন। গত ৭ দিন ধরে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা রয়েছে দুই শতাধিক। স্থান বা বেড সংকুলান না থাকায় এই সব রোগীদের ভর্তি করাতে অনীহা প্রকাশ করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে, বাড়তি কাজ এড়াতে অনেক ডাক্তারই চান না হাসপাতালটি চালু হোক। সাবেক সিভিল সার্জন ডা. ফরিদ আহম্মেদ জানান, আধুনিক মানের এ হাসপাতালে আইসিইউসহ সব কার্যক্রম চালু করা সম্ভব। এটি চালু হলে বরিশাল, পটুয়াখালীর একাংশসহ ভোলার ২৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে এমনটা মনে করেন ভোলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।