ভোলায় করোনাভাইরাস সন্দেহে প্রথম রোগী আইসোলেশনে ভর্তি
বিশেষ প্রতিনিধি, আমাদের ভোলা.কম।
ভোলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে এক যুবকে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলার দৌলতখান হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি তাকে করা হয়েছে। জেলায় এটিই প্রথম রোগী, যাকে আইসোলেশনে রাখা হলো। তার বাড়ী দৌলতখান উপজেলায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালি জানান, জ্বর, সর্দি ও গলা ব্যাথা নিয়ে ওই যুবক চিকিৎসা নিতে আসেন। তাকে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার করোনা রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে তার নমুনা পরীক্ষা করেই কনফার্ম করা যাবে।
এদিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন। তবে ওষুধ ফার্মেসি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা থাকবে। এছাড়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জেলার অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লার রুটের লঞ্চ চলাচল। এতে করে ঢাকা-ভোলা, ভোলা-বরিশাল ও ভোলা-লক্ষীপুরসহ সব রুট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে জেলায় নতুন আরো ৫০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে পর্যবেক্ষনে থাকা ব্যাক্তির সংখ্যা ৩২২ জন। এদের মধ্যে সদরে ৯২ জন, দৌলতখানে ৩৫জন, বোরহানউদ্দিনে ২৬জন, তজুমদ্দিনে ৬১জন, মনপুরায় ৩১ জন, লালমোহনে ৩৭ জন ও চরফ্যাশন উপজেলায় ৪০ জন রয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। একই সাথে কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ায় ৬০ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ রতন কুমার ঢালী জানান, জেলার সকল হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে, একজন আইসোলেশন ছাড়া এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত নেই। তবে সার্বিক পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো। ডাক্তার ও নার্স প্রয়োজনীয় সেবা দিচ্ছেন। চিকিৎসকদের জন্য ১৮০টি পিপিই দেয়া হয়েছে, আরো পিপিই পেতে চাহিদা দেয়া হয়েছে।
এদিকে কোয়ারেন্টিন না মানায় গত ২৪ ঘন্টায় আরো এক প্রবাসীকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির হাজী এ জরিমান করেছেন। এ নিয়ে জেলায় ১৭ জনকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।