দৌলতখান থেকে চিত্র নায়ক অনন্ত জলিলের চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার, আটক ৩
দৌলতখান প্রতিনিধি, আমাদের ভোলা.কম।
দৌলতখানে যৌথ অভিযানে সাভারের চিত্র নায়ক অনন্ত জলিলের চুরি হওয়া ৫৫ লক্ষ টাকা থেকে ২৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে দৌলতখান থানা পুলিশ ও সাভারের ডিবিপুলিশের একটি টিম।আজ সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মধ্যজয়নগর ৯নং ওয়ার্ড এর শহিদ বিশ্বাসের বাসায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ডিবিপুলিশ এর এস আই আসরাফ ও দৌলতখান থানার এস আই রিয়াজ এ সময় ওই বাসা থেকে ২৭ লক্ষ টাকা সহ শহিদ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী ও তার সালক জুয়েলকে গ্রেফতার করেছে ডিবিপুলিশ ।দৌলতখিান থানার অফিসার ইন-চার্জ এনায়েত হোসেন জানান ঢাকা থেকে আসা ডিবিপুলিশ উদ্ধার করা ২৭ লক্ষ টাকাসহ আটককৃত আসামীদেরকে নিয়ে ঢাকার উদ্দ্যোশে রওয়ানা হয়েছেন ।
উল্লেখ্য ঢাকার সাভারে ৮ এপ্রিল, একটি পোশাক কারখানার ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে কারখানার গাড়িচালক পালিয়ে গেছেন । এ ঘটনায় কারখানার হিসাবরক্ষণ বিভাগের একজন কর্মকর্তাকে পুলিশ আটক করেছে।
সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত কারখানাটি চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন এজেআই গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।
অভিযুক্ত গাড়িচালকের নাম শহীদ বিশ্বাস (৩৭)। তাঁর বাড়ি ভোলায়। আর আটক কর্মকর্তা হলেন জহিরুল ইসলাম।
কারখানার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুল হাসান মীর বলেন, সকালে এজেআই গ্রুপের হিসাবরক্ষণ বিভাগের নির্বাহী জহিরুল ইসলাম ও গাড়িচালক শহীদ বিশ্বাস রাজধানীর আদাবর এলাকায় কারখানার এক পরিচালকের বাসা থেকে ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে মাইক্রোবাসে করে সাভারে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক হেমায়েতপুর শাখায় গ্যাসের বিল দেওয়ার জন্য রওনা দেন। পরে ওই দুজন হেমায়েতপুর শাখায় টাকা জমা না দিয়ে সাভারের থানা রোড এলাকায় সোনালী ব্যাংকে আসেন ভ্যাটের টাকা জমা দিতে। এ সময় জহিরুল ইসলাম গাড়িতে ৫৫ লাখ টাকা রেখে সোনালী ব্যাংকে যান। পরে কৌশলে গাড়িচালক শহীদ ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে চম্পট দেন। ব্যাংক থেকে ফিরে এসে জহিরুল ইসলাম মাইক্রোবাস পেলেও গাড়িচালক শহীদকে ও টাকা খুঁজে পাননি। বিষয়টি তিনি কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানালে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জহিরুল ইসলামকে আটক করে।
জহিরুল ইসলাম ও গাড়িচালক শহীদকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান