ভোলার উত্তর দীঘলদীর তাজু বেগমকে দেখবে কে?

অতিথি প্রতিবেদক, আমাদের ভোলা.কম।

আমাদের জীবনটা কখনো হাঁসির আবার কখনো কান্নার। এই হাঁসি ও দুঃখের জীবন নিয়ে চলতে হয় আমাদের। তবে নিয়তি এমন কিছু মানুষের কপালে শুধু দুঃখ ই রেখেছেন বলে মনে হয়। আর তাঁর মধ্যে ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ভাসমান তাজু বেগম (৫৫) একজন। জন্মভূমি ভোলায় হলেও একটুও সুখ নেই জীবনে। জন্মের পর থেকে কিছুটা প্রতিবন্ধী রুপে রুপান্তরিত হন তাজু বেগম। যাঁর জন্য শৈশব, কিশোর জীবন কেটে এখন বৃদ্ধ জীবনে আবদ্ধ হন। অসহায়, দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী বলে হয়তো নজরে পড়েনি কারো। তাই তো বিয়েও জুটেনি কপালে। এমন মন্দ কপাল নিয়ে জন্মগ্রহণ করে কতটা কষ্টে বেঁচে আছেন তাজু বেগম। সেটা শুধু তিনিই একমাত্র ভালো করে জানেন। এতো কষ্টের পরেও একটুও কি নজর পড়েনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চোখে? হয়তো পড়েছে, কিন্তু পরেও লাভ কি যদি সেই চোখ থাকে অন্ধতে ঢাকা। আমরা সাংবাদিক, আমরা জাতির বিবেক। এটা সবাই ই বলে, তাই তো জাতির বিবেক কে জাগিয়ে তুলতে মুঠোফোনে এই প্রতিনিধির কাছে খবর আসে। মুঠোফোনে অন্যর দেওয়া তথ্য শুনে নিজে আর স্থির থাকতে পারলাম না। সকাল হলেই ছুটে যাই সেই অসহায় দরিদ্র তাজু বেগমকে দেখতে। স্থানীয় কোন বাড়ি নেই, কোথায় খুঁজে পাই থাকে? এই বাড়ি সেই বাড়ি খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে দেখা মেলে বাবুল নামে এক ব্যক্তির ঘরে। চেহারাটা দেখে, সবকিছু জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এতোদিন পর্যন্ত একটা চালের কার্ডও পায়নি সে, অথচ সেই এলাকার জনপ্রতিধিদেরকেই ভোট দিয়ে নির্বাচন করেছেন তিনি। এই বিষয়ে উত্তর দীঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মুনসুরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ফোন দিয়ে ও রিছিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।