কপ ২৫ বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় কোন অগ্রগতি না হওয়ায় সুশীল সমাজের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

১২ ডিসেম্বর ২০১৯, মাদ্রিদ, স্পেন। স্পেনের মাদ্রিদে আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলন- কপ ২৫-এর ফলাফল সম্পর্কিত চলমান আলোচনা এবং অগ্রগতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। তাঁরা আজ স্পেনের মাদ্রিদে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্যারিস চুক্তি মোতাবেক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণে ধনী দেশগুলোর অব্যাহত বিরোধীতাকে গভীর হতাশাজনক বলেও মন্তব্য করেন। গ্রিন হাউস গ্যাস নি:সরণের মাত্রা কমানো, দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন, ক্ষয়ক্ষতি ব্যবস্থাপনার একটি দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ধনী দেশগুলো এই সম্মেলনে মতবিরোধে লিপ্ত রয়েছে।

মাদ্রিদের কপ২৫ সংবাদ সম্মেলন কেন্দ্রে “এলডিসি ও এমভিসিভুক্ত দেশুগুলোর জনগণের প্রত্যাশা এবং কপ ২৫” শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন এলডিসির বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচক জনাব সুনীল আচার্য-নেপাল, ইন্ডিয়ান সোস্যাল এ্যাকশন ফোরামের সভাপতি শ্রীমতি বিদ্যা দিনকার, গ্লোবাল ফরেস্ট কোয়ালিশনের উপদেষ্টা সুপর্না লাহিড়ি, বাংলাদেশের সিপিআরডি নির্বাহী পরিচালক মোঃ শামসুদ্দোহা, এবং সিএসআরএলের মোঃ জিয়াউল হক মুক্তা। দক্ষিণ এশিয়ার সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইক্যুইটিবিডি’র সৈয়দ আমিনুল হক।

সৈয়দ আমিনুল হক বলেন, কপ ২৫ আলোচনার চলমান ধারা এবং অগ্রগতি আমাদের জন্য হতাশার। প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত “সরকারী প্রতিনিধি দলের প্রধান” বিশেষ করে মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায়ও কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। তিনি দক্ষিণ এশীয়ার সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে চারটি দাবি তুলে ধরেন, দাবিগুলি হলো – ১. প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ধনী দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে হবে এবং সেই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন তরান্বিত করতে হবে, ২. বিপন্ন ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে “মার্কেট মেকানিজম অ্যান্ড কো-অপারেশন” নামে কোনও মিথ্যা সমাধান সুপারিশ করা যাবে না, বরং উন্নত দেশগুলিকে তাদের নিজেদের দেশেই গ্রিন হাউস গ্যাস হ্রাসের ব্যবস্থা নিতে হবে, ৩. দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নকে ধনী দেশগুলির জন্য একটি “বাধ্যবাধকতা” হিসেবে বিবেচনা করতে হবে, কারণ তারা ২০২০ সালের পরবর্তী সময়ের জন্যও ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সংগ্রহের সম্মিলিত লক্ষ্য স্থির করেছিলো, ৪. জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপন্ন দেশগুলোর ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য ওয়ারশ আন্তজাতিক মেকানিজন (উইম) এর কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন ও প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।

সুনীল আচার্য বলেন, দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন প্যারিস চুক্তির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ, কারণ এটি মেক্রো পর্যায়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুটো ক্ষেত্রের জন্যই গুরুত্বপূণ। আমরা ২০২০ সালের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থায়নের বিষয়টির সমাপ্তি দেখতে চাই না, আমরা বরং ২০৩০ সাল পর্যন্ত এর বাস্তবায়ন সম্মন্ন হতে দেখতে চাই।

মোঃ শামসুদ্দোহা বলেন, এবারের সম্মেলন মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধানদের পক্ষে লোকসান ও ক্ষতির বিষয়ে সম্পৃক্ত হওয়ার একটি বড় সুযোগ। আমরা মনে করি যে, ডব্লিউআইএম পর্যালোচনা বিপন্ন দেশগুলির জন্য একটি ভরসাস্থল। লোকসান এবং ক্ষতি সম্পর্কিত কাজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটি পৃথক আর্থিক ব্যবস্থার জন্য অর্থ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ইতিবাচক এবং দৃঢ় ভূমিকা নিতে হবে।

সুপর্না লাহিড়ী বলেন, আমরা কার্বন বাণিজ্য এবং তথাকথিত বাজার ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নামে আমাদের লোক এবং তাদের জীবিকা বিক্রি করতে পারি না। এটি উন্নত দেশগুলির একটি মিথ্যা প্রস্তাব, এবং এর বিরুদ্ধে বিপন্ন ও উন্নয়নশীল দেশগুলির পক্ষ থেকে জোরালো কণ্ঠে প্রতিবাদ জানাতে হবে।

বার্তা প্রেরক: সৈয়দ আমিনুল হক, +৮৮০১৭১৩৩২৮৮১৫

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।