ভোলায় পালিত হল হানাদার মুক্ত দিবস

কাজী মহিবুল্লাহ, আমাদের ভোলা.কম।
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ভোলায় পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর আয়োজনে জেলা প্রশাসন কার্যলয়ের সামনে থেকে একটি বণার্ঢ্য র্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে বীরমুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এতে অংশ নেয়।
পরে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- ভোলা জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মৃধা মোজাহিদুল ইসলাম ,জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক সভাপতি দোস্ত মাহামুদ, ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কমান্ডার মো: অহিদুর রহমান, প্রবীন সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, এম হাবিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর আহবায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্য সচিব আদিল হোসেন তপু, যুগ্ন-আহবায়ক কামরুল ইসলাম,তানজিলুর রহমান, উপজেলা আহবায়ক মো: সোহাগ,সদস্য সচিব মো: শিপন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় ভোলা। এপ্রিলের শুরুর দিকে ভোলা ওয়াপদা ভবনে ক্যাম্প করে অবস্থান নেয় পাক হানাদার বাহিনী। ওই ভবনের ২টি কক্ষকে টর্চার সেল বানিয়ে নিরীহ মানুষ কে ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হত। ওয়াপদা ভবনের পাশেই রয়েছে বধ্যভূমি যেখানে শতশত মুক্তিপাগল মানুষকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়ে ছিলো। ভোলার দেওলা, বাংলাবাজার এবং দৌলতখানের গুপ্তেরগঞ্জ বাজারে সমুখ যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর পাকসেনাদের মনোবল ভেঙ্গে পরে। ভোলার মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে ঘিরে শহর দখলের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এমন সময়ে ১০ ডিসেম্বর ভোররাতে ভোলা লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চ যোগে পাকবাহিনী ভোলা থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করে । মুক্তি যোদ্ধারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেও আধুনিক অস্্েরর কাছে ব্যর্থ হয়। পরে মিত্র বাহিনী কে খবর দেয়া হলে চাঁদপুরের কাছে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় পাকসেনাদের বহনকারী লঞ্চটি ডুবে যায়।
পাকবাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর ১০ ডিসেম্বর সকালে কালেক্টরেট ভবনের সামনে পতাকা উড়িয়ে ভোলা কে হানাদার মুক্ত ঘোষনা করে মুক্তিযোদ্দারা। এভাবেই ভোলা হানাদার মুক্ত হয়।