ভোলায় জনতার মুখোমুখি ৪ প্রার্থী
ইয়াছিনুল ঈমন।
অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে ভোলা -১ সদর আসনের প্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা ইয়াসিন নবীপুরী, জাতীয় পার্টির কেফায়েত উল্লাহ নজিব এবং কমিউনিস্ট পার্টির সোহেল আহমেদ। তবে বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর শারীরিক অসুস্থতার কারনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি ।
ভোলা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে নিজ নিজ দলীয় ইসতেহার তুলে ধরে এলাকার সার্বিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন প্রার্থীরা।
এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ভোলার নির্বাচনী পরিবেশ খুবই ভাল, শান্তিপূর্ণ। আমি বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীরের বাড়িতে গিয়েছি। শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। এখানে কারো প্রচার প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে না। তবে তারা নিজেরাই মানুষের কাছে যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আমলে ভোলায় পানি সম্পদ মন্ত্রী ছিল কিন্তু ভোলার নদী ভাঙন প্রতিরোধে কোন কাজ করেনি। আমরা ভোলার নদী ভাঙন রোধে ব্লকবাধ দিয়ে নদী ভাঙন বন্ধ করেছি। ভোলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ এই শ্লোগান নিয়ে গ্রামগুলোতে শহরের সকল সুবিধা পৌছে দিয়েছি। সারা দেশের গ্রামগুলো শহরে রূপান্তর করা হবে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী কেফায়েত উল্যাহ নজিব বলেন, ‘আমি কামনা করি স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির নেতৃত্ব এদেশে থাকুক। বিগত আমলে স্বাধীনতার সপক্ষ দলের পক্ষ থেকে উন্নয়ন যেভাবে হয়েছে এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক।’ তিনি বিজয়ী হলে দ্বীপজেলার উন্নয়নে কী কী করবেন এর ফিরিস্তি তুলে ধরেন এই প্রার্থী।
ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি ইয়াছিন নবীপুরী বলেন, ‘আমাদের দেশে উন্নয়নের জন্য যে বরাদ্দ হয় তা দুর্নীতি আর বিভিন্ন রকমের অনিয়মের কারণে আমরা সেই বরাদ্দের যথাযথ বাস্তবায়ন হতে দেখি না। আমি এমপি হলে এলাকার উন্নয়নে যে কয় টাকা বরাদ্দ হবে এর মধ্যে কোনো রকম দুর্নীতি ও অনিয়ম হবে না।’
কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী সোহেল আহমেদ বিজয়ী হলে ভোলার প্রধান সমস্যা নদী ভাঙন রোধে কাজ করবেন বলে জানান।
উপস্থিত প্রার্থীরা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে হাতে হাত মিলিয়ে অঙ্গীকারনামা বাস্তবায়নের শপথ নেন। এ সময় করতালি দিয়ে উপস্থিত ভোটাররা তাঁদের অভিনন্দন জানান। উপস্থিত ভোটাররাও সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার শপথ নেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুজনের জেলা সভাপতি সাফিয়া খাতুন, সম্পাদক নাসির লিটন,সুজন সদর উপজেলা কমিটির সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মো: হোসেন প্রমুখ।