‘আমাদের আন্দোলন ক্ষমতা ও গদি দখলের জন্য নয়- আল্লামা বাবুনগরী
কাজী মহিবুল্লাহ আযাদ, আমাদের ভোলা.কম।
হেফাজত ইসলামের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, হেফাজত ইসলামের কার্যক্রম অরাজনৈতিক উল্লেখ করে বাবুনগরী বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন ক্ষমতা ও গদি দখলের জন্য নয়। আমাদের আন্দোলন ইসলামের জন্য। আল্লাহ, তার রাসুল এবং তার মনোনীত দ্বীন ইসলামের হেফাজতের জন্য।’
বাবুনগরী আরে বলেন ‘ইসলাম, মুসলমান ও নবি (স.) কে নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বর্তমানে কিছু কুচক্রী মহল ইসলাম ও মুসলমানকে নির্মূল করেেত ইসলাম ও রাসুল (স.) কে কটূক্তি করে ইসলামকে বিদায় করতে চায়। কিন্তু তাদের জন্য কোনো আইন নেই। আমরা মুসলমানরা আমাদের প্রিয় নবি মুহাম্মদ (স.) কে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসি। প্রয়োজনে তার জন্য আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি, ইসলাম ও নবিকে অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন পাস করতে হবে।’
রবিবার বিকালে ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ইত্তেহাদুল ওলামাইল মাদারিসিল কওমিয়া (আঞ্চলিক কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ) আয়োজিত ইসলামি মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাবুনগরী বলেন, ‘বিশ্বের আলেম-ওলামারা ঐক্যমত কাদিয়ানিরা কাফের। যারা খতমে নবুয়্যাত বা মুহাম্মদ (স.) কে শেষ নবি মনে করে না তারা সকল ঈমামের ঐক্যমতের ভিত্তিতে, সকল মাজহাবের ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাফের। কিন্তু এরা মুসলিম নাম ধারণ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাই এদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করতে হবে।
এ সময় তিনি উপস্থিত সকল মুসল্লি, সুশীল সমাজ, আলেম-ওলামা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের পক্ষে হতে সরকারের কাছে কাদিয়ানিদের কাফের ঘোষণার দাবি জানান।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘বর্তমান ভারতে বাবরি মসজিদের স্থানে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার রাম মন্দির নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই বাবরি মসজিদ ৫০০ বছরের পুরাতন মসজিদ। মোঘল আমল থেকে ভারতের পরবর্তী সকল হিন্দু নেতারা এই বাবরি মসজিদকে মসজিদ হিসেবে মেনে নিয়েছে। এমনকি বৃটিশ আমলে ভারতের সব হিন্দু রাজা ও জমিদাররা এটাকে মসজিদ হিসেবে মেনে নিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মোদি সরকার এই মসজিদের স্থানে রাম মন্দির প্রতিস্থাপন করতে চায়। আমার আশঙ্কা হয়, আল্লাহ তায়ালা আবরাহার বাদশার ঘটনার মত গায়েবি গজব দিয়ে মোদিকে ধংন করে কিনা।
ইত্তেহাদুল ওলামাইল মাদারিসিল কওমিয়ার সভাপতি মাওলানা আনাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন- রাবেয়াতুল ওয়ায়েজিন’র সভাপতি আল্লামা আবদুল বাসেদ খান, আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মিজানুর রহমান, চরমোনাই মরহুম পীর সাহেবের ছেলে সৈয়দ এসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, মোহাম্মদপুর জামেয়াতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস শায়েখ তাহমিদুল মাওলা, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, মুফতি ইয়াসিন
নবীপুরী, ইত্তেহাদের সম্পাদক মাওলানা বশির উদ্দিন প্রমুখ।