চরফ্যাশন (ভোলা)থেকে বিশেষ প্রতিনিধি।
ভোলার চরফ্যাশন সরকারী কলেজের অফিস সহকারি খাদিজা নাসরিনের (৩০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পরে পোস্টমর্ডেম শেষে আজ দাফন করা হয়েছে।
খাদিজা নাসরিন চরফ্যাশন পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের হাদিস মিস্ত্রীর বড় ছেলে মোঃফারুক হোসেনের বড় মেয়ে।
রবিবার রাতে পুলিশ খবর পেয়ে ৯নং ওয়ার্ডে কালিয়াকান্দি গ্রামে খাদিজা নাসরিনের শশুর বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় চরফ্যাশন থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।খাদিজার
দুইদিনের একটি নবজাতক শিশু রয়েছে।
চরফ্যাশন থানায় সোমবার
এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। খাদিজার ভাই মো. সাইফুল ইসলাম রুবেল জানান গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় আমার বোনের একটি ছেলে হয়েছে। পরদিন হাসপাতাল থেকে আমার বোনকে তার শশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরে আমরা জানতে পারি ত্কে মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যার অপপ্রচার চালানো হয়।দুই বছর আগে পৌর ৯নং ওয়ার্ডে কালিয়াকান্দি
এলাকায় আবুল হোসেন দেওয়ানের ছেলে মো.কামাল হোসেন দেওয়ানের সঙ্গে বিবাহ হয়।জানা যায়, এর আগেও কামাল হোসেনের দুই স্ত্রী ছিল।প্রথম স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় সমঝোতার মাধ্যমে তারা মেয়েকে ছাড়িয়ে নেয়। দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে কামালের একটি মামলামোকদ্দমা চলছে। পরিকল্পিতভাবে খাদিজাকে হত্যা করে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে আত্নহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে বলে দাবি পরিবারবর্গের। চরফ্যাশন থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, খাদিজা নাসরিনের ঝুলন্ত লাশ অবস্থায় উদ্ধার শেষ লাশের সুরতহাল করা হয়েছে,তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা রিপোর্ট আসার পরে জানা যাবে।আপমৃত্যু মামলায় কাউকে আসামী করা হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াছিনুল ঈমন