ভোলায় ঝড়ে দেড় শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত , ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ৫
কাজী মহিবুল্লাহ আযাদ, আমাদের ভোলা .কম।
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে দেড় শতাধিক ঘর বাড়ি ও দোকান পাট বিধস্ত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন। এছাড়া ঝড়ের কবলে পড়ে মেঘনায় একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে পাঁচ জেলে নিখোঁজ হয়েছেন।
শনিবার (০৯ নভেম্বর) রাত থেকে রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফা ঝড়ে ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় এ ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো- ভোলা সদর উপজেলার র্পুব ইলিশা ও পশ্চিম ইলিশা, লালমোহন উপজেলার গজারিয়া ও চর পেয়ারী মোহন এবং চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর, নজরুল নগর, ওসমান গঞ্জ ও কলমি।
ভোলা সদর উপজেলার র্পুব ইলিশা ইউনিয়নে ফেরি ঘাটে ৩ টি দোকান বিধস্ত হয়েছে ও পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে ২ টি ঘর বিধস্তের খবর পাওয়া গেছে।
লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হোসেন রুমি জানান, ঝড়ে উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ১৭টি ঘর সম্পূর্ণ এবং ২০টি ঘর আশিংক বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন।
অপরদিকে, চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রহুুল আমিন জানান, ঝড়ে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও আব্দুলপুর ইউনিয়নের একটি ট্রলার সদরের ইলিশা পয়েন্টে ডুবে গেছে। এতে পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে, সকাল থেকেই সমগ্র জেলার উপর দিয়ে ঝড় ও ভারী বর্ষণ বয়ে যাচ্ছে। এতে বাঁধের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের অবজারবার মাহাবুব রহমান জানান, বুলবুল অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। যার প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সকালে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ভোলায় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। ভারী বর্ষণ হওয়ার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কাজে যেতে পারছেনা দিন মজুরেরা। শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।