ভোলায় বেপরোয়া মাহেন্দ্র কেড়ে নিলো আরেকটি তাজা প্রাণ

মো.খাইরুল ইসলাম (হৃদয়), আমাদের ভোলা।
নিজের পড়াশোনা অসুস্থ বাবার চিকিৎসা ও পরিবারের হাল ধরার জন্যে উপার্জনের আশায় সড়কে ইজিবাইক নিয়ে নেমে ভোলায় মো.হোসেন (২০) নামের এক ইজিবাইক চালক ফিরলেন লাশ হয়ে।
পুলিশ এই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠালে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আরোও এক যুবক আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত মো.হোসেন ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের সদুর চর গ্রামের মো. আবুল কালামের ছেলে।
হোসেন ভোলা জেলা সদরের ওবায়দুল হক মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন বলে জানা গেছে।
সোমবার ৭ নভেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক সড়কের বাপ্তা ভোটেরঘর এলাকার পুলিশের দোকান নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ,প্রত্যক্ষদর্শী,ও নিহতের পরিবারের স্বজনরা জানান,বেশকিছুদিন ধরেই হোসেনের বাবা আবুল কালাম গত ২ বছর ধরে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত।
তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। রিকশা চালিয়ে সংসারের খরচ জোগাতেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সংসার ও তার চিকিৎসার খরচ জোগাড়ে বেশ হিমশিমে পড়তে হয় তাকে। বাধ্য হয়ে আজ সকালে হোসেন তার বাবার অটোরিকশা নিয়ে রাস্তায় নামেন জীবিকা নির্বাহের জন্য।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে,দুপুর ১২ টার কিছু সময় ভোলা সদর থেকে যাত্রী নিয়ে পরানগঞ্জ বাজার যাওয়ার পথে বিপরীত দিক ইলিশাঘাট থেকে ছেড়ে আসা ইঞ্চিনচালিত দ্রুতগামী একটি মাহিন্দ্র তার অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই হোসেনের মৃত্যু হয়।
এদিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহীন ফকির বলেন,মাহিন্দ্র গাড়িটি অটোরিকশাকে চাপা দিলে উভয় গাড়ি রাস্তার পাশে থাকা পুকুরে পড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহত হোসেন ও আহত রাসেলকে হাসপাতালে নিয়ে আসে, তবে এ ঘটনায় মাহিন্দ্রচালকের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে,আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।