দৌলতখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী’র অফিস ভাংচুরের অভিযোগ, হামলায় আহত ৫!

স্টাফ রিপোর্টার।

ভোলা জেলার দৌলতখান‌ উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর ও সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম নাসিরুদ্দিন নান্নু বলেন স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থী ছকেট জামালের নির্দেশে মোহাম্মদ হোসেন মাল , হোসেন মালের ছেলে সাদ্দাম মাল , শফিক মাঝি , শফিক মাঝির ছেলে বাহার, জাহাঙ্গীর আলম , জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিয়াজ , আইজুল মাঝি ও তার ছেলে জামাল , ইয়াকুব, ঝিলন , বাচ্চুসহ ৪০-৫০ জন লোক সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে তিন নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে এসে ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা নির্বাচনী অফিসে থাকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, ভোলা ১ আসনের এমপি তোফায়েল আহমেদের ছবি ও ভোলা ২আসনের এমপি আলী আজম মুকুল এর ছবি ভাঙচুর করেন । ভাংচুরের সময় অফিসে বসা আমার সমর্থকদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। হামলায় আমার ৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে । আহতরা হলেন মাইনুদ্দিন, আবুল কালাম ভুট্টো, মহিউদ্দিন, আবু সাঈদ । হামলায় আহত মাঈনুদ্দিনের অবস্থা গুরুতর । দায়ের কোপ এর কারণে তার মাথায় ৫ টি সেলাই লেগেছে । মাইনুদ্দিন বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন । বাকি আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন ।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাসিরুদ্দিন নান্নু আরো বলেন আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থী ছকেট জামাল আমার লোকজনের উপর হামলা করে নির্বাচনী এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে । যাতে করে কেউ ভোটের দিন ভোট দিতে না যায় । ছকেট জামালের কোন ভোট নেই। জনগণ তাকে জলদস্যু হিসেবে চেনে। সন্ধ্যায় আমার নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করার পরে রাতে আবারো সকেট জামালের নেতৃত্বে আমাকে সমর্থন জানানো ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলতু হাওলাদারের বাড়িতে হামলা ও বোমা বর্ষণ করা হয় । মদনপুর নদীবেষ্টিত একটি বিচ্ছিন্ন চর। ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে আমার দাবি নির্বাচন পর্যন্ত মদনপুর ইউনিয়নে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হোক এবং হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করছি এবং আমি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি‌। আমার মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী
জামাল উদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন এবং উল্টো তার নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

ভোলা জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম (বিপিএম পিপিএম) বলেন দৌলতখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । আমি দৌলতখান থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি কঠোর হস্তে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছি।

দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ বজলার রহমান জানান, সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

উল্লেখ্য, আগামী ১১ নভেম্বর দৌলতখান উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে মদনপুর ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর মাঝখানে অবস্থিত। সেখানে এবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন নান্নু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আনারস প্রতীকের জামাল হোসেন চকেট।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

মার্চ ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« ফেব্রুয়ারি    
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।