ভোলায় সিসি ব্লক ধসে নারীর মৃত্যু, আহত ১
ইয়াছিনুল ঈমন, আমাদের ভোলা ।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় টেকসই ব্লকবাঁধ ধসে নদীতে ডুবে লাইজু (৪০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দেড় বছর বয়সী মরিয়ম নামের আরো এক শিশু আহত হয়েছে।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ইলিশা তালতলি লঞ্চঘাটের উত্তর পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত লাইজু উপজেলার রাজাপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামপুর গ্রামের মৃত সিরাজের স্ত্রী।
তিনি তিন সন্তানের মা। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি মাছঘাটে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি বাক প্রতিবন্ধী ছিলেন। আহত শিশু মরিয়ম ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
আহত মরিয়ম উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের জুয়েলের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের দিকে ইলিশা তালতলি লঞ্চঘাটের উত্তর পাশে সিসি ব্লক ধসে পড়ে। এসময় সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় লাইজু নামের ওই বাক প্রতিবন্ধী মহিলা নদীতে পড়ে যান। পরে স্থানীয় জেলেরা তাকে মৃত উদ্ধার করে।
একই সময়ে ব্লক ধসে দুইটি জেলে নৌকার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে নৌকায় থাকা মরিয়ম নামের দেড় বছর বয়সী এক শিশু নদীতে ডুবে আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ নিখোঁজ আছে কি না তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি।
ভোলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. সুমন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। তবে ভোলায় ডুবুরি দল না থাকায় বরিশালের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে কেউ নিখোঁজ আছে কি না তা দেখা হবে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, ভোলার ইলিশা ও রাজাপুর এলাকাটি দুটি নদীর মোহনা হওয়ায় উজানের স্রোতের কারণে নদীর গভীরতা বেড়ে ৮৫-৯০ ফুট হয়েছে। তাই এর আগেও দুইটি স্থানে ব্লক বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে প্রায় ২৮ হাজার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলা হয়েছে। আজ সোমবার নতুন করে ৪০ মিটার এলাকার ব্লক বাঁধ ধসে এক জন নিহত হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জরুরী ভিত্তিতে আবারও জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করা হবে।
ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মতে নিহতের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।