চরফ্যাসনে সংবাদকর্মির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ
![](https://amaderbhola.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বিশেষ প্রতিনিধি।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ও অনলাইন টেলিভিশন বেঙ্গলী ২৪.টিভির যুগ্ম বার্তা সম্পাদক প্রেস টাইমের রেদওয়ানুল হকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রাথমিক অভিযোগ আদালত আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল।তার বিরুদ্ধে চরফ্যাসন চরমাদ্রাজের কতিপয় ভূমিসংক্রান্ত পারিবারিক ঘটনায় এই মিথ্যা মামলার অভিযোগ।এনিয়ে রোদওয়ানকে দুটি পৃথক মামলায় জড়ানো হয়েছে।মিথ্যা মামলায় সংবাদকর্মিকে হেয় প্রতিপূন্ন করায় চরফ্যাসন সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজ ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরমাদ্রাজ ইউনিয়ন চর নিউটনের ভূমিদস্যু মামলাবাজ টাউট আবু জাহের মাঝি ওরফে আবু জাহের রং ও তার ভাতিজা ফিরোজ রং একই এলাকার মোসলে উদ্দিন ধলুর যোগসাজসে মাদ্রাজ ৫নং ওয়ার্ডের মৃত মাঈন উদ্দিন, শাহাবুদ্দিন ও ফরিদ মিয়ার প্রায় ১ একর জমি দীর্ঘ চৌদ্দ বছর যাবৎ জবরদখল করে রাখে।স্থানীয়ভাবে গন্যমান্যরা অনেক চেষ্টার পরেও জমি উদ্ধার করতে পারেননি।
গত জুন মাসে চরফ্যাশন থানার তৎকালীন ওসি শামসুল আরেফিন, চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জমাদার ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ আবদুল হাই সমন্বয়ে সামাজিক ফয়সালার মাধ্যমে উক্ত জমি জবর দখল থেকে উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিতে রায় দেয়া হয়।
দীর্ঘদিনের দখলি জমি জোর পূর্বক রাখা জমি প্রকৃত মালিককে বুঝাইয়া দেয়ার পর সংবাদকর্মি রেদওয়ানকে হুমকি দেয়। এতে কাজ না হওয়ায় জনৈক ধলু মিয়ার স্ত্রী মোরশেদা বেগমকে বাদী করে চরফ্যাশন আদালতে সি.আর -৩৪৬ ও তার মেয়ে মেয়েকে দিয়ে ভোলা নারী ও শিশু আদালতে আরও একটি মামলা নং৫৩৮ মামলা দায়ের করে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা চরফ্যাসন থানার ওসি (তদন্ত) রিপন সাহার কাছে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলার বিষয়ে সর্বশেষ তদন্তের কি অবস্হা জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে,সঠিক চিত্র অচিরেই বের হবে।
ভোলা জেলা নাগরিক ফোরাম (দক্ষিণ) সভাপতি চরফ্যাসন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম আবু সিদ্দিক বলেন,সাংবাদিকের নামে মিথ্যা ও হয়রানী মামলা দায়ের কারিদের বিরুদ্ধে আমরা অচিরেই কঠোর কর্মসূচী দিবো।তারা যতই প্রভাবশালী হোক সাংবাদিকে হয়রানীকানিদের কোন ছাড় নেই।
ওসি তদন্ত জানান,আদালত থেকে মামলার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা পেয়ে গত পরশু( বুধবার) সরেজমিন তদন্ত কালে মামলাটি পারিবারিকভাবে কাউকে ফাঁসানোর উদ্দ্যেশে অভিযোগ করা হচ্ছে বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রতিয়মান। কারো প্ররোচণায় মামলাটি সাজানো বলে মনে হচ্ছে।মেডিকের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।অনেকটা নিশ্চিত জমিজমার ফয়সালার রায়কে কেন্দ্র করে আদালতেএই মামলার অভিযোগ।
ওসি আরও জানান যারা এই বিষয়ে সামাজিক ফয়সালা দিয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করছি।তাদের সাক্ষ্যতে মামলার তদন্তে অভিযোগের প্রকৃত রহস্য উম্মোচিত হবে।