ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ভোলায় গাছ উপড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন, চলছে মাইকিং

নিজস্ব প্রতিনিধি,আমাদের ভোলা.কম

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলায় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকেই জেলাজুড়ে মুষলধারে বৃষ্টিসহ ঝড়ো বাতাস বইছে। মেঘনা নদী ও সাগর উত্তাল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই ভোলার সকল রুটের লঞ্চ চলাচল ও ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ইলিশা ঘাটে আসা যাত্রীরা।

নদী ও সাগর থেকে মাছধরার নৌকা ও ট্রলার নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় স্থানীদের সর্তক করে মাইকিং করছে কোস্টগার্ডের ছয়টি টিম।

ভোলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মাহাবুব রহমান জানান, উপকূলীয় জেলা ভোলাকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ভোলায় ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি পাত হয়েছে। এছাড়া ঘন্টায় ১৫ নটিক্যাল মাইল বেগে বাতাস বইছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ইলাহী চৌধুরীর জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলার ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া এক হাজার ৩০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখার জন্য অবহিত করা হয়েছে। সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে আটটি কন্ট্রোল রুম। গঠন করা হয়েছে ৭৬টি মেডিকেল টিম। দুর্যোগ মোকাবেলায় ১৩ হাজার ৬০০জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।

জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের তিন লক্ষাধিক বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দুর্যোগকালিন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষদের জন্য এক হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। এছাড়া ২৫ মেট্রিক টন চাল ও পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।