চরফ্যাশনে খাদিজা হত্যা রহস্যঃ মধ্যযুগীয় কায়দায় শিকলে বেধে রাখা হতো খাদিজাকে

এম আবু সিদ্দিক, চরফ্যাশন  প্রতিনিধি:

১৪ বছর বয়সে ঢাকায় এক ব্যবসায়ীর সাথে বাল্যবিয়ে দেয়া হয় খাদিজাকে।বাবা-সৎ-মা আর ফুফির প্ররোচণায় এই বিয়ে কোনভাবেই মেনে নেতে পারেনি।
বয়সের অনেক ব্যবধানে খাদিজা স্বামীর সংসারে সুখের ছোঁয়া পায়নি।
কয়েক বছরের সাংসারিক জীবনে নানা রকম অশান্তির কারনে প্রায়ই ঢাকা থেকে লন্চযোগে চরফ্যাশন জাহানপুরে বাবার বাড়ি কখনো ফুফুর বাড়ি ছিল তার সুখের আস্তানা।
স্বামী জানতে পেরে ছুটে আসেন শশুরবাড়ি চরফ্যাশনে। বাবার বাড়ি থেকে
জোর পুর্বক স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হত।অহেতুক বিভিন্ন কারনে নির্যাতন ও স্বামীরদুর্ব্যবহারের কারনে স্বামীর সংসারে যেতে চায়না।
প্রায়ই মারধর করতো, স্বামীর সন্দেহ চরফ্যাশনে কারো সাথে খাদিজার সাথে মোবাইলে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।সম্পর্কের কারনে কারো সাথে যেকোন সময়ে পালিয়ে যেতে পারে
এই কারনে বাবার বাড়িতে লোহার শিকলে বেঁধে রাখা হত।
বাড়িদে বাবা সৎমা মিলে প্রায়ই মারধর করতো,
যন্ত্রনায় কস্ট হলে চিৎকার চেচামচি করতো।আশপাশের
সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে শিখলসহ অন্যত্র নিয়ে রাখা হতো।
ভ্রাম্যমান ফল ব্যবসায়ী বাবুলসহ কয়েতজনের সামনে দিয়ে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিক্সাযোগে চরফ্যাসন সদর রোড দিয়ে শিকলবাঁধা খাদিজাকে নিয়ে যাওয়া হয় ফুফুর বাড়িতে।
এসময় তার একজন লোক ছিলো,সে-কে এখনো জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান,এসময় রিকসায় চিৎকার চেচামেচি করছিল। এরপরে সদররোড দিয়ে উত্তর দিকে জোরপূর্বক নিয়ে যাচ্ছে খাদিজাকে। ভগ্যের নির্মম পরিনতি
পরদিন শনিবার সকালে চনফ্যাশন পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে ফুফুর বাড়ির অদূরে রাস্তার পাশে একটি নির্জন বিলের মাঝে পাওয়া যায় খাদিজার শিকলবাঁধাহীন বিকৃত লাশ।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্ডেমের জন্য খাদিজার দেহ লাশঘরে পাঠিয়েছে।
চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন বলেন,আমরা তদন্ত করে দ্রুত হত্যাকান্ডের রহস্য বের করতে পারবো।
দুদিন অতিবাহিত হলেও এই হত্যাকান্ডের কোন রহস্য উদঘাটিত হয়নি।
এলাকাবাসির অভিযোগ নিহতের ফুফু বাবা ও খাদিজার স্বামীর সেলফোন ট্রাকিং করলেই উদঘাটিত হবে খাদিজা হত্যার প্রকৃত রহস্য।

 

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।