আবু সিদ্দিক, বিশেষ প্রতিনিধি, আমাদের ভোলা
চরফ্যাশন পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডে জলবদ্ধ বিল থেকে উদ্ধার হওয়া খাদিজার ময়না তদন্ত শেষে তার শেষ ঠিকানা হয়েছে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে।
পুলিশি মামলায় তদন্ত শেষে পরিবারবর্গ লাশ সনাক্ত করে নিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় অবশেষে ভোলায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম খাদিজার লাশ দাফন করে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে।
গৃহবধু খাদিজার লাশ বিদায়ে মৃত খাদিজার লাশ সনাক্ত করে তার ফুফু ও ফুফাতো বোন।
খাদিজার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ জোর চেম্টা চালাচ্ছে। এলাকার একাধিক সূত্র বলছে এই হত্যাকান্ডে বাবা সম্পৃক্ত থাকতে পারে।
বিভিন্ন কারনে এলাকাবাসির অভিযোগের তীর এখন তার বাবার দিকে।
পুলিশ বলছে আটকের ভয়ে হয়তো বাবা ফারুক হোসেন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
বিভিন্ন মিডিয়ায় এই ঘটনা ভাইরাল হওয়ায় গতকাল সোমবার রাতে খাদিজার ফুফু ও ফুফাতো বোন কে থানায় ডেকে আনা হয়।খাদিজার লাশ সনাক্তের পরে তারা বলছে খাদিজার মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই জানেনা।
পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতসামা আসামী করে চরফ্যাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস, আই, নাজমুল জানান, রবিবার খাদিজার ফুফু ও ফুফাতো বোনকে রহস্যময় মৃত্যুর বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে থানায় ডেতে আনা হয়।
দীর্ঘ সময় ধরে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে জবানবন্দি নেয়ার পরে দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয় ৷
জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয় লাশ দাফনের জন্য তার বাবাকে নিয়ে যেতে।
ফারুক হোসেন খাদিজা নামে কাউকে চিনেনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাহানপুরের একাধিক সূত্র সাংবাদিকদেরকে জানান, ফারুক হোসেন বিতর্কিত অনেক পেশার সাথে জড়িত। এলাকায় সে একাধিক বিবাহিত করেছে।বিয়ে পাগল।তার একাধিক স্ত্রী ছোটবেলায় মেয়েদের বিয়ে দেয়ার পরে মেয়েদের কোন খোঁজ খবর রাখেনা। খাদিজার অমতে বাবা ও ফুফুর প্ররোচণায় মাত্র ১৪ বছর বয়সে ঢাকায় তোফায়েল (৪৬) নামে এক সন্তানের জনকের সাথে খাদিজাকে বিয়ে দেন ৷
সম্প্রতি মোবাইলে অন্য কোন ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কের অজুহাতে মারধরের কারনে স্বামীকে না বলে বাবার এলাকায় চলে আসার পরে বাবা তার মেয়েকে লোহার শিখলে বেঁধে রাখে।
গত শুক্রবার রাতে ফুফুর বাড়িতে শিকল বাধাবস্হায় বাবা নিয়ে আসার পরে পরদিন সকালে জলাবদ্ধ বিলের মাঝখানে মিলে হতভাগ্য খাদিজার লাশ।
আজ সোমবার ১৪ সেপ্টেন্বর সন্ধ্যায় চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, এই মামলার তদন্ত চলছে হত্যার রহস্য শীর্ঘই উদঘাটিত হবে বলে তিনি জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াছিনুল ঈমন