ভোলায় চাচার হাতে ভাতিজা খুন, আটক-১
অর্জুন চন্দ্র, আমাদের ভোলা.কম।
ভোলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় আপন চাচার হাতে মো. মনির (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত মনির ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি গ্রামের মো. নাছির আহম্মেদের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ শনিবার রোকেয়া বেগম নামে একজনকে আটক করেছে।
নিহতের ভাই কাশেম জানান, গত এক বছর আগে আমার ভাই মনিরের কাছ থেকে আমারই বড় ভাই নিহতের চাচা সেলিম ৪০ হাজার টাকা ধার নেয়। টাকা নেয়ার সময় সেলিম এক মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে দিবে বলে। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও সে টাকা ফিরত দেয়নি সেলিম। টাকা চাইতে গিয়ে আমার ভাইর সঙ্গে সেলিমের কয়েকবার বাক-বিতন্ডা হয়। বেশ কয়েকবার স্থানীয় পর্যায়ে সালিশও হয়। কিন্তু সেলিম টাকা ফেরত দেয়নি।
কাশেম আরো বলেন, পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকেলে আমার বাবা সেলিমের বাড়ীতে যায়। তখন সেলিম আমার বাবার সাথে দুর্ব্যবহর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। তখন আমার ভাই আমার ভাই মনির দুর্ব্যবহরের কথা জিজ্ঞেস করতে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিম ও তার ছেলে সাইফুল এবং সবুজ মিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মনিরকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় মনিরের ডাক-চিৎকারে তার স্ত্রী আসমা বেগম ও পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলা কারিরা পলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মনিরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।
পরে মনিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান থেকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে ভোলা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আসামী করা হয় সেলিম ও তার দুই ছেলেকে। অথচ সেলিমের স্ত্রী রোকেয়া এজাহারভুক্ত আসামী না হওয়া সত্ত্বেও শনিবার তাকে গ্রেফতার করে ভোলা থানা পুলিশ।
ভোলা মডেল থানার ওসি মো. ছগীর মিঞা জানান, এ ঘটনায় নিহতের পিতা নাছির আহম্মেদ বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অজ্ঞাত আসামী হিসেবে সেলিমের স্ত্রী রোকেয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরকেও দ্রুত গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।