ভোলার চরফ্যাশনে হাঁসের কালো ডিম পাড়ায় এলাকায় আলোড়ন

চরফ্যাশন প্রতিনিধি, আমাদের ভোলা।
এ যুগে আশ্চর্য কত ঘটনাই ঘটে। পাতিহাঁস কালো ডিম পাড়ার ঘটনায় ভোলার চরফ্যাসনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি রূপকথার মতো অবাক হলেও ঘটনা সত্যি। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার চরফ্যাশনে উপজেলায় জিন্নাগড় ইউনিয়নের দাসকান্দি গ্রামে। পাতিহাঁস কালো ডিম পাড়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে দাসকান্দি এলাকায় আবদুল মান্নান রাঢ়ী বাড়ীর সৌদি প্রবাসী আব্দুল মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ঘরোয়াভাবে ১১টি পাতিহাঁস লালন পালন করে।এর মধ্যে ৯ মাস বয়সী একটি হাঁস। বাকিহাঁসগুলো ৬/৭ মাসের। গতকাল সকালে তার হাঁসের খোয়ারে বড় হাঁসটি কালো ডিম দেয়। ডিমের রং গাঢ় কালো দেখে তাসলিমা মনে করেন অন্যকোন প্রজাতির ডিম হতে পকরে।তিনি ভয় পেয়ে বাড়ির অন্যদের দেখালে এলাকায় আশপাশে দ্রুত জানাজানি হয়ে যায়। পাতিহাঁসের কালো ডিম দেখতে ওই বাড়িতে লোকজনের সমাগম ঘটতে থাকে।দেরিতে হলেও দুপুরে গণমাধ্যমকর্মিদের কাছে খবর আসে হাঁসে কালো ডিম পাড়ার ঘটনা।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন,আমার জানামতে দেশীয় কোন পাতিহাঁস কালো ডিম পেড়েছে এই ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম। তিনি জানান, আমাদের দেশে জিং ডিং জাতের একপ্রকার হাঁস হালকা নীল রঙের ডিম দেয়। পাতিহাঁস কালো ডিম পেড়েছে কখনো শুনিনি এবং দেখিনি,আমারমতে এটি অস্বাভাবিক ডিম। ভারতীয় ব্রিডের কাদারনাথ কালো মাসি জাতের মুরগী রয়েছে যারা কালো ডিম পারে এবং যাদের মাংসও কালো। পাতিহাঁস কালো ডিম পাড়তে পারে ঐ হাসের হয়তো জরায়ু বা শারীরিক কোন সমস্যার কারনে কালো ডিমের কালার কালো হতে পারে।
চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের উপ সহকারী প্রাণী সম্পদ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম বলেন, এই ঘটনা আরো কয়েকদিন পর্যবেক্ষন করে দেখতে হবে কি কারনে এই হাঁস কালো ডিম পেড়েছে। যদি দেখা যায় এই হাঁসটি ধারাবাহিকভাবে কালো ডিম পাড়ছে তাহলে প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের গবেষনাগারে হাঁস ও ডিম পাঠানো হলে সঠিক কারন জানা যাবে। তবে এধরনের ঘটনা এ দেশে প্রথম