তৃণমূলের সাংবাদিকতা….আলম রায়হান
আলম রায়হান, সিনিয়র সাংবাদিক।
কলেজছাত্র থাকাকালে ১৯৭৭ সালে লেখার ক্ষেত্রে হাতে খড়ি হয় বরিশাল কলেজের দেয়াল পত্রিকা ‘তমাল’-এর মাধ্যমে। এ পত্রিকার আমি স্বনির্বাচিত সম্পাদক! মোজাম্মেল স্যার ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। এই সূত্রে যোগাযোগ বরিশাল জেলা পরিষদের পাক্ষিক পত্রিকা বাকেরগঞ্জ পরিক্রমা’র সঙ্গে। বয়োবৃদ্ধ ও অভিজ্ঞ সম্পাদক ইয়াকুব আলীকে সহায়তা করার জন্য ছিলেন বরিশাল কলেজের বাংলার অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, আমার অতি প্রিয় শিক্ষকদের একজন।
সম্পাদক প্রতিটি লেখা এমনভাবে দেখতেন যেনো, এটিই তার আখেরী কাজ। এরপর দেখেদিতেন মোজাম্মেল স্যার, যেনো তিনি পরীক্ষার খাতা দেখছেন। দু’জনের এই দেখাদেখির কখনো আগপিছ হয়েছে, কিন্তু দু’জনে দেখা ছাড়া কোন লেখা ছাপা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এর সঙ্গে প্রফেশনাল প্রুফ রিডারতো ছিলেনই। কেবল লেখা এডিট করা নয়, তাঁরা নানান উপদেশও দিতেন অধিকতর শুদ্ধ লেখার বিষয়ে। ফলে একরকম হাইড্রোলি প্রেসার বোধ করতাম আমরা। এই চাপ ধীরে রূপান্তরিত হয় আগ্রহে; এরপর প্রবনতায়।
কালের পরিক্রমায় বহু বছর পেরিগেছে, এ সময়ে আমি সুগন্ধাসহ কয়েকটি সাপ্তাহিক, দৈনিক বাংলারবানী-দৈনিক আমাদের সময়সহ বেশ কয়েকটি দৈনিকে কাজ করার পর বাংলাভিশনের মাধ্যমে শুরু হয় আমার টেলিভিশন জীবন। বাংলাভিশন ও মাইটিভি মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় বছর কাজ করেছি টেলিভিশনে।
১৯৭৭ সাল থেকে আজতক বহু সময় পেরিয়ে গেছে, বদলে গেছে অনেক কিছু। কিন্তু তৃণমূলের সাংবাদিকদের শুদ্ধ সাংবাদিকতা করার প্রবনতা এবং আগ্রহ রয়েগেছে প্রায় আগের মতোই। সে তুলনায় যারা কেন্দ্রে সাংবাদিকতা করেন, তাদের অনেকের মধ্যেই উল্টো প্রবনতা দেখেছি খুব কাছ থেকে। এরাই আবার, কারণে অকারণে তৃণমূলের সাংবাদিকতা নিয়ে নাক ছিটকান!