চরফ্যাসনে সাবেক এমপি নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত৷
এম,আবু সিদ্দিক, বিশেষ প্রতিনিধি,আমাদের ভোলা
ভোলা-৪( চরফ্যাসন-মনপুরা) আসনের আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য, চরফ্যাসন সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এম,এম নজরুল ইসলামের ২৮তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (১৭সেপ্টেম্বর) অধ্যক্ষ এম এম নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন, উপজেলা আওয়ামীলীগ, চরফ্যাসন সরকারী কলেজ,চরফ্যাসন প্রেসক্লাব, আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মরহুমের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, কবর জিয়ারত, কোরআন খতম , দোয়া মোনাজাত, হাফেজি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছেন৷
সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ এম এম নজরুল ইসলাম যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ভোলা- ৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের পিতা।
দুপুর ১২টায় চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মরহুমের স্মৃতিচারণ করে আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ৷
স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন আখন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভিপি, পৌর মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ।
আরও বক্ততব্য রাখেন যুবলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান স্বপন, প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন, প্রেসক্লাব সম্পাদক ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মনির আহমেদ শুভ্র। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ,শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ওলামা লীগ সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন৷ এছাড়াও ভোলা জেলা নাগরিক ফোরাম (দক্ষিণ),চরফ্যাসন বাজার ব্যবসায়ী সমিতি,পরিবার উন্নয়ন সংস্হা,সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি,মাধ্যমিক শিক্ষক সমন্বয় সমিতি মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
স্মৃতিচারণে প্রধান অতিথি বলেন, জননেতা মরহুম অধ্যক্ষ এম এম নজরুল ইসলাম ১৯৪৩ সালের ১৬ অক্টোবর তৎকালীন বরিশাল জেলার ভোলা মহকুমার লালমোহন থানার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের চাদঁপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম আবদুল হাকিম পন্ডিত এবং মাতার নাম জরিফা খাতুন৷ তিনি চরফ্যাসন টাফন্যাল ব্যারেট (টিবি) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, চরফ্যাশন সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এবং ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন পদে নিয়োগ পান। কিন্তু চরফ্যাসনের মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেননি৷ ১৯৭৯ সালে বাকেরগঞ্জ-৩(চরফ্যাসন-লালমোহনের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত) আসন এবং ১৯৯১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ভোলা-৪ (চরফ্যাসন-মনপুরা) সংসদীয় আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালের ১৭ ই সেপ্টেম্বর হার্ডস্ট্রোক করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷