খেলতে আইসেন না, আমি কিন্তু তার ছিড়া খেলোয়াড় : শামীম ওসমান
নিউজ ডেস্ক, আমাদের ভোলা.কম।
সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, আমাদের শরীরে যা আছে তা সবই হালাল। তাই আমরা কারো সাথে বেঈমানি করতে পারি না। আমরা রাজনীতি করতে আসছি। আয়েশ করতে আসি নাই। কিছু চাইতে আসে নাই।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের চাষাড়ায় নবাব সলিমুল্লাহ সড়কে শামীম ওসমানের ডাকা সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে ওই কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, মনিরকে যেদিন গুলি করে হত্যা করা হলো। লাশ দাফন করতে নিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন আবারও এসে লাশের উপর গুলি করা হলো। সত্তরটা গুলি সেই লাশ থেকে বের করা হলো। আজকে এত বড় বড় কথা বলেন, সেদিন কোথায় ছিলেন আপনারা? কারে খেলা শেখাতে আসেন, আমরা তো অনেক ছোট বেলার খেলোয়াড়। বড় খেলোয়াড় হতে পারি নাই। তবে মাথার তার ছেড়া খেলোয়াড় ছিলাম। আমাদের সাথে খেলবেন?
তিনি বলেন, আমরা একটু আগেই শুরু করি। জামায়েতের আমির গোলাম আযমকে নিষিদ্ধ করলাম। মুন্সিগঞ্জে যাবে সেখানে যাওয়া বন্ধ করলাম। নরসিংদীতেও ঢোকা বন্ধ করলাম। আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষ একটু আগেই বুঝি। কারণ নারায়ণগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর বিচরণ ছিলো তার সব থেকে বেশি। তাই আগে ভাগেই আমরা গন্ধ পাই। ইউটিউবে একটি ভিডিও বের হয়েছে। জামাতের সাথে কাদের কাদের সম্পর্ক তা প্রকাশ পেয়েছে। আজ বড় বড় কথা বলেন!
শামীম ওসমান বলেন, আমার নেত্রী আমার মা আমাকে বললেন, তোর উপর হামলা হবে। বুঝতে পারি নাই। তারা সব থেকে বড় বোমাটা আরডিএস মারা হলো আমাদের উপর। সাথে সাথে ২০ জন মানুষ নাই। রক্ত কত গরম তা সেদিন বুঝেছিলাম। কতক্ষণ শুয়ে ছিলাম তা জানি না। কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রীকে ফোন করা হলো। বলা হলো, চিন্তা করিস না। তোর স্বামীকে আবারও মারবো। আমার নেত্রী আমার মা প্রতি মিনিটে মিনিটে আমার স্ত্রীকে ফোন করলেন। বললেন, ওকে সরাও। ওকে ঢাকা নিয়ে আসো। ওকে আবারও মারবে। আমার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলো কিছু বলবেন? আমি একবারও বলিনি আমাকে বাঁচান। আমি বললাম, আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচান।
তিনি বলেন, যাদের এসএ আরএস সিএস পর্চার আওয়ামী লীগ তাদেরকে খাস বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে আর যারা খাস ছিলো তারা আজকে আওয়ামী লীগ। এসব যখন দেখি তখন কষ্ট লাগে। খুব কষ্ট লাগে।
শামীম ওসমান বলেন, কানাডা থেকে মোবাইলে বক্তব্য দিই তা প্রচার করেছে আমার ভাই বোনেরা। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করলাম। ২৪ ঘণ্টার নোটিশে নারায়ণগঞ্জে আসলাম। লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশ হইলো। আমরা ডাকলে এমন লক্ষ লক্ষ লোক অনেক আগের থেকেই হয়।
তিনি বলেন, বয়স হইসে তাই এখন অনেকের অনেক কথা সহ্য করি। কিন্তু বয়স হইসে শরীরের বয়স কিন্তু হয় নাই। এই আগডুম বাগডুম খেলা আমরা বহু আগের থেকেই খেলি। পুলিশ ভাইয়েরা মনে কিছু কইরেন না। এই পুলিশ পুলিশ খেলা বহু আগের থেকেই খেলি আমরা।
তিনি আরও বলেন, আমাকে ধরতে আসছিলো। সেনা বাহিনী, র্যাব, বিজিবি মিলিয়ে মিনিমাম ৫ হাজার। আমি নেত্রীকে ফোন দিলাম। বললাম, আপা গ্রেফতার হবো? আপা বললেন, না, একদম না। তখন কইলাম, আপায় যখন বলছে না, তখন বাংলাদেশের এমন কোনো শক্তি নেই আমি শামীম ওসমানকে গ্রেফতার করে। যারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দাও, ছোট খাটো অফিসার, তোমরা মনে রাইখো আমরা কিন্তু সেই পদের খেলোয়াড়। ১৭ দিন কিন্তু এই এলাকায় কেউ ঢুকতে পারে নাই।
এসময় সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, সহ সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, অ্যাড. ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদর এম শওকত আলী, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল ভূইয়া, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি প্রফেসর শিরিন বেগম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহসিন মিয়া, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন, সিদ্ধিরগঞ্জ যুবলীগ সভাপতি মতিউর রহমান মতি প্রমূখ।
সূত্র -http://www.narayanganjtoday.net