ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
কাজি মহিবুল্লাহ আযাদ, আমাদের ভোলা.কম।
গতকাল ভোলায় ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আমির ড. মাওলানা ঈশা সাহেদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক আলহাজ্ব মু. শওকাত হোসেন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ময়মনসিংহ জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা মহিবুল্লাহ নাসের, ভোলা দারুল হাদিস আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোবাশ্বেরুল হক নাঈম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাকসুদ উল্লাহ আমিনী, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা মীর বেলায়েত হোসেন, অধ্যাপক মাওঃ মাসুদুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু সুফিয়ান, অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল লতিফ, মাওলানা আমিনুল হক নোমানী, মাওলানা নাছরুল্লাহ হামিদি, মাওলানা মোস্তফা কামাল, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা আবদুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা কাজী শাহেদ তালুকদার, মোঃ আবদুর রহমান মানিক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ঈশা সাহেদী বলেন, দেশের সর্বত্র আজ অন্যায়, অবিচার, মদ, জুয়া, জিনা, ব্যাভিচার, সন্ত্রাস, দুর্নীতি চলছে। যতই উন্নয়নের ঢাক ঢোল পেটানো হোক, দেশের মানুষের নৈতিক উন্নয়ন সাধিত না হলে তা একেবারেই অর্থহীন। আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে মানুষের জান, মাল, উজ্জতের নিরাপত্তা নেই। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত নেই। এই অবস্থা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ আল্লাহ প্রদত্ত বিধান অনুযায়ী ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
অন্যান্য আলোচকগণ তাদের আলোচনায় দেশের সামগ্রিক অবস্থা তুলে ধরে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, গণতন্ত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি ব্যার্থ মতবাদ। গণতন্ত্রের নামে দেশে কি চলছে তা আমাদের সবার জানা। তাই এই তৌহিদী মুসলমানদের দেশ বাংলাদেশে একমাত্র ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সকল ক্ষেত্রে শান্তি ও নিরাপত্তা পূর্নপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
২য় অধিবেশনে নির্বাচন পরিচালনা করেন, দৈনিক আজকের ভোলা সম্পাদক আলহাজ্ব মু. শওকাত হোসেন। অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলামকে জেলা আমীর ও অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলামকে জেলা সেক্রেটারী করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।