অপরাধ মুক্ত বাকেরগঞ্জ গড়তে থানা পুলিশের ব্যতিক্রম উদ্যোগ!
নিজস্ব প্রতিবেদক: আমাদের ভোলা।
অপ্রত্যাশিত সড়ক দুর্ঘটনা, মাদক ক্রয় বিক্রয় ও পরিবহন, ছিনতাই, ডাকাতি, প্রতারণা সহ এমনকি খুনের ঘটনায়ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। দেশব্যাপী এমন শঙ্কার মধ্যে এসব অপরাধ রোধে একটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে বরিশাল জেলাধীন বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ। আর এতে অপরাধের মাত্রা অনেকাংশেই কমে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া যাত্রীদের মাঝেও স্বস্তি থাকবে এবং তাদের নিরাপত্তা আরো জোরদার হবে।
বাকেরগঞ্জ থানার চৌদ্দটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় সহ¯্রাধিক ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালকদের স্বাক্ষরিত একটি অঙ্গীকার নামা, ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা নিয়েছেন বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চৌকস ওসি) আলাউদ্দিন মিলন। তাছাড়া প্রত্যেক ভাড়া মোটরসাইকেল চালকের একটি নির্দিষ্ট রঙ্গের ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইতঃমধ্যে এসব কাজের সিংহভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, গত কয়েকমাসে বাকেরগঞ্জ থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অনেক উন্নতি হয়েছে। হামলা সংঘর্ষ, মাদকের আগ্রাসন রোধে সার্বক্ষণিক তৎপর ছিল পুলিশ। ইতঃপূর্বে মাসে গড়ে শতাধিক মামলা /অভিযোগ হলেও বর্তমানে তা কমে প্রায় ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এরই ধারবাহিকতায় সম্প্রতি পর পর দুইবার বরিশাল জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি মনোনিত হন বাকেরগঞ্জের ওসি আলাউদ্দিন মিলন। যদিও তিনি দাবি করেন, এই কৃতিত্ব বাকেরগঞ্জ থানায় কর্মরত প্রতিটি পুলিশ সদস্যের।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের বাকেরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন ডাকুয়া বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। গত কয়েক মাসে বাকেরগঞ্জে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বর্তমান ওসি আলাউদ্দিন মিলনের দুরদর্শী ভুমিকায় পুলিশ সদস্যদের তৎপরতার কারনেই এটা সম্ভব হয়েছে। বরিশাল অনলাইন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন-অর-রশিদ বলেন, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকদের অঙ্গীকারনামা জমা নেওয়ায় তারা দায়বদ্ধ হয়ে পড়লো। এতে তাদের দ্বারা অপরাধ প্রবণতা ও প্রতারণা জিরোর কোঠায় নেমে আসতে পারে। তাছাড়া যাত্রীরা কোন প্রকার হয়রানী হলে অভিযোগ দেওয়ার একটা সূত্র তৈরী হলো। বাকেরগঞ্জের মত এমন সৃষ্টিশীল কাজ অন্যান্য থানায়ও চালু করা উচিৎ।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন বলেন, প্রায় সহ¯্রাধিক ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকের অঙ্গীকারনামা, ছবি ও এনআইডির ফটোকপি জমা নেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট পোষাক (ইউনিফর্ম) ও আইডি কার্ড ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর বাইওে এ এলাকায় কোন ভাড়া মোটরসাইকেল থাকবেনা। আমরা আশা করছি, এর মাধ্যমে চুরি ছিনতাই, মাদক ক্রয় বিক্রয়, প্রতারণা সহ অনেক অপরাধ কমে আসবে।