ভোলায় জমে উঠেছে পশুর হাট।

মোঃ আরিয়ান আরিফ, আমাদের ভোলা.কম।

আর কিছুদিন পরেই ঈদুল আজহা।এরই মধ্যে জমে উঠেছে ভোলার সদর উপজেলার কোরবানির পশুর হাটগুলো। ভারতীয় গরু না আসায় এবার দাম কিছুটা বেশি হলেও দেশি গরু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।ঈদে পশু কোরবানি দিতেই ভোলার বড় বড় গরুর হাটগুলো এখন ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরগমে মুখরিত। হাটগুলোতে বড় এবং মাঝারি সাইজের দেশী গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও দাম আকাশচুম্বি বলে মনে করছেন ক্রেতারা। দাম চড়া থাকায় গরু কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। গত বছরের তুলনায় গরুর দাম দিগুণ বলে অভিযোগ অনেক ক্রেতাদের।

হাট ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবচেয়ে ছোট গুরু বিক্রি হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা, এর থেকে একটু বড় অর্থৎ মাঝারি সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ হাজারে আর বড় সাইজের ১ লক্ষ থেকে উপরে। পশু খাদ্যের দাম ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো গরু কিনতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ছাগলের বাজার কিছুটা বাড়লেও তা সাধ্যর মধ্যে আছে বলে জানায় অনেক ক্রেতা। তবে দু’একদিন পরেই সরবরাহ বেশি হলে দাম নেমে আসবে বলেও মনে করছেন তারা।

বিক্রেতারা বলছেন পশু খাদ্যের দাম বেশি, তাই বাধ্য হয়েই দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভোলা সদরের ধনিয়া গোডাউন বাজারে গরুরহাটে গিয়ে দেখা গেছে, দেশীয় গরুর সমারোহ। গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রির জন্য বড় ও মাঝারি সাইজের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। তবে বেশিরভাগ গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে এক থেকে দেড় লাখ টাকা।

ভোলার পুলিশ সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, হাটে নির্ভিঘ্নে ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে সহজেই কেনা-বেচা করতে পারেন সে জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও অনেক হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন দেয়া হয়েছে। হাট বাজার, ফেরি ও লঞ্চঘাটগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে, কয়েকদিন পরে সরবরাহ বেড়ে গেলে গরুর দাম অনেকটা কমে যাবে এমন প্রত্যাশাই করছেন ক্রেতারা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।