ভোলায় সরকারি ঔষধ কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্ত করলেন তদন্তকারী দল
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স তৃপ্তি রায়ের সরকারি ঔষধ কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্ত করে গেলেন তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে সাংবাদিক ও অভিযক্ত নার্স তৃপ্তি রায়ের বক্তব্য শুনেন তদন্তকারী দল।এরপর অভিযুক্ত নার্স তৃপ্তি রায়,নার্সিং সুপার ভাইজার নাজমা বেগম, এর লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন তারা।
উল্লেখ্য গত ১৬ আগস্ট বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের সিনিয়র স্টার নার্স তৃপ্তি রায় নিয়ম বহিভূত ভাবে হাসপাতালের ৪৮ পাতা সরকারি ঔষধ বাসায় নিয়ে যাওয়ার সময় ক্যামেরা বন্ধি হন।ভিডিওটি ভাইরাল হলে দেশ জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে
ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ওয়াজেদ আলী, ভোলা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত বোর্ড গঠন করেন। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন,ভোলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফারজানা খান(জুটি), একই অফিসের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সোলায়মান।
তবে ভিডিও ধারণকারী সংবাদকর্মী এইচ এম এরশাদ জানান,ভিডিওর ধারণের সময় ওই নার্সের সাথে থাকা বোরকা পরিহিত একজন মহিলার হাতে একটি বড় ব্যাগ ছিল।ভিডিওর বিষয়টি টের পেয়ে ওই মহিলা দৌড়ে পালিয়ে যায়।এ ঘটনা বললেও তদন্তকারী দল ওই বিষয়টি আমলে নেননি। তাছাড়া তৃপ্তি রায়ের বক্তব্য অনুসারে যে টিকেটগুলোর মাধ্যমে ওইদিন তিনি ঔষধগুলো নেন বিতরণকৃত ঔষধ আর রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করেননি।এমতাবস্থায় সচেতন মহল মনে করছেন, এটি কী প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য তদন্ত? নাকি অভিযুক্ত তৃপ্তি রায়কে সেইভ করার জন্য লোক দেখানো তদন্ত হচ্ছে?
তদন্ত টিমের প্রধান ভোলা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন,তদন্ত রিপোর্ট আমরা ভোলা সিভিল সার্জনের নিকট প্রদান করব।তদন্তের স্বার্থে তিনি আর কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী বলেন,তদন্ত রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।তদন্ত কমিটি মৌখিক ভাবে সময় বর্ধিতকরণের কথা বলছেন।