ভোলায় নতুন করে গ্যাসকূপ খনন শুরু
বিশেষ প্রতিনিধি, আমাদের ভোলা।
ভোলায় গ্যাসকূপ খনন কাজ শুরু করেছে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম। শুক্রবার সকাল থেকে গ্যাসকূপ খনন কাজ শুরু হয়। বিকেলে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী-১ কূপের খনন কাজ উদ্বোধন করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন। এ সময় পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান নাজমুল আহসানসহ বাপেক্স এর উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, বাপেক্সের সাথে গ্যাজপ্রমের একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে গ্যাজপ্রম খননকাজ সম্পন্ন করবে। তখন জানা যাবে এখানে কি পরিমাণ গ্যাস রয়েছে।
এর আগে ২০২০ সনে বাপেক্সের একটি অনুসন্ধান দল ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ করে জেলার আলাদা তিনটি স্থানে গ্যাসের সন্ধান পায়। এগুলোর নাম দেয়া হয় ইলিশা-১, ভোলা নর্থ-২ এবং টবগি-১ গ্যাস কূপ । এ ৩টি নিয়ে ভোলা জেলায় কূপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়টিতে।
বাপেক্স সূত্র জানিয়েছে, জেলার বোরহানউদ্দিনের শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের পূর্বের চারটি কূপ ছাড়াও শাহবাজপুর ইস্ট এবং ভোলা নর্থ নামে আরও দুটি কূপে মোট গ্যাসের মজুদের পরিমাণ প্রায় ১.৩ টিসিএস (ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট)। এর মধ্যে শাহবাজপুর ইস্ট কূপে মজুদ রয়েছে ৭০০ বিসিএফ এবং ভোলা নর্থ গ্যাস ক্ষেত্রে রয়েছে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
সূত্র জানিয়েছে, ভোলা জেলায় প্রাকৃতিক গ্যাসের যে মজুদ রয়েছে তা ভবিষ্যতে মোট মজুদের প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।
বাপেক্স জানিয়েছে, বর্তমানে ভোলাতে যে পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে তার মধ্যে প্রতিদিন উত্তোলন হচ্ছে ৬৫ বিলিয়ন ঘনফুট। যা চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, একটি কারখানা ও বেশ কিছু গৃহস্থালী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোলার গ্যাস আপাতত বাইরের জেলায় যাচ্ছে না, তবে ভোলা-বরিশাল ব্রিজ হলে তখন হয়তো সরবরাহ করা হতে পারে।
জানা গেছে, শাহবাজপুর ইস্ট নামে একটি কূপ এবং ভোলা নর্থ গ্যাস ক্ষেত্রে গ্যাসের মজুদ থাকলেও সেখান থেকে আপাতত গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে না, তবে এসব কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। নতুন কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান বা বিদ্যুৎ কেন্দ্র না থাকায় গ্যাসের ব্যবহার কম হচ্ছে। এ জেলায় আরো বিপুল পরিমাণ গ্যাসের মজুদ রয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। ১৯৯৩-৯৪ সালের দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়। সেখানে চারটি কূপ খনন হয়েছে। বর্তমানে ১, ২ ও ৩ নম্বর কুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রে মজুদ রয়েছে প্রায় ১.৩ টিসিএফ ঘনফুট গ্যাস।