প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন করা, আর নিজের কিডনী বিক্রি করে বার্গার খাওয়া একই কথা
হাসনাইন তাসলিম, অতিথি প্রতিবেদক।
প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন করা,
আর নিজের কিডনী বিক্রি করে বার্গার খাওয়া একই কথা।ব্রাজিলের অ্যামাজন জঙ্গল ও আমাদের সুন্দরবনের সাথে যা হচ্ছে,
সেটা কিন্তু অনেকটা এমনই!
অ্যামাজন জঙ্গল আজ প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে জ্বলছে!
আগুনের তীব্রতা এত্ত বেশী যে, এই জঙ্গলের সবচেয়ে নিকটবর্তী শহর প্রায় তিন হাজার মাইল দূরের “সাও পাওলো” নগরীতেও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
শত সহস্র মাইল জুড়ে চলা অগ্নিকান্ডে কি পরিমাণ মূল্যবান বৃক্ষরাজি ও প্রাণী ধ্বংস হয়েছে, তাঁর হিসেব তারা গোনার মতোই দুষ্কর!
অথচ পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত সুবিশাল এই বনটির জন্যই পৃথিবীর উষ্ণতা আজও অনেকটা ঠিক ছিলো।
তবে ভয়ানক এই আগুন প্রাকৃতিক ব্যাপার নয়।
এটা সম্পূর্ণ মানবসৃষ্ট ঘটনা।
কেননা বিভিন্ন দিক বিবেচনায় এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে, ব্রাজিলের বর্তমান পাগলাটে প্রেসিডেন্ট জায়ার বলসোনারো এই বন ধ্বংস করে সেখানে শিল্প-কারখানা করতে চায়!
অ্যামাজন যদি পৃথিবীর ফুসফুস হয়, তবে বাংলাদেশের ফুসফুস হচ্ছে সুন্দরবন।
কিন্তু সুন্দরবনের সাথেও একই আচরণ করা হচ্ছে।
এটিতে আগুন লাগানো না হলেও, এর খুব কাছেই বিরাট কয়লাচালিত পাওয়ারপ্লান্টের পাশাপাশি আরও নানান শিল্প-কারখানা গড়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বারবার সতর্ক করলেও, তাদের কথা শুনতে বয়েই গেছে!
আপনার ফুসফুস নষ্ট হলে, আপনি সুস্থ থাকতে পারেন না।
তেমন প্রকৃতি নষ্ট করেও, আমরা ভালো থাকতে পারবো না।
মানুষের সাথে কোন অন্যায় করলে, পালিয়ে গিয়ে আদালতের শাস্তি থেকে বাঁচা যায়।
কিন্তু প্রকৃতির সাথে ক্রমাগত অন্যায় করলে, একসময় প্রকৃতি যখন শাস্তি দিতে শুরু করে, তখন সেটা থেকে বাঁচার কোন সুযোগ নেই…