জোয়ারের চাপ ও ভাঙনে হুমকির মুখে মনপুরা
মনপুরা প্রতিনিধি , আমাদের ভোলা.কম॥
ভোলার মনপুরায় লঘুচাপের প্রভাব, উজানে পানির চাপ ও টানা বর্ষণে মেঘনা পানি বিপদসীমার উপর প্রবাহিত হয়। এতে মূল ভূ-খন্ডে বাঁধ উপচে পানি প্রবাহিত হয়ে নি¤œাঞ্চল সহ মূল ভূখন্ডে ৪-৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। গত তিনদিনের জোয়ারের পানির তোড়ে ১ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ সহ পাকা সড়ক বিধ্বস্ত হয়। এখনও প্লাবিত এলাকায় ত্রান কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় জন দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে।
এদিকে মূল ভূ-খন্ডের বিচ্ছিন্ন বেড়ীবাঁধহীন কলাতলীর চর, চরনিজাম ও চর শামসুদ্দিনে ৫-৬ ফুট জোয়ারের প্লাবিত হয়। এতে ওই সমস্ত এলাকায় দিনে-রাতে দুবেলা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় রান্না করতে না পারায় অর্ধাহারে-অনাহারে দিনযাপন করে। কিন্তু ত্রান না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা।
প্লাবিত এলাকার বাসিন্দা জমিরউদ্দিন, হাসিনা বেগম, কামাল, জামাল, শরিফুল, মামুন, মিজান, বাচ্চু, শিখা রাণী দাস, তপন চন্দ্র হাওলাদার সহ অনেকে জানান, গত তিন দিন ধরে সকাল ও রাতে পানিবন্দি অবস্থায় ছিলাম। ঘরে ভিতরে জোয়ারের পানি ডুকায় রান্না হয়নি। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ ত্রান দেয়নি। পানি ও মুড়ি খেয়ে কোনমতে জীবন যাপন করছি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, চরযতিন, সোনারচর ও চরফৈজুদ্দিন গ্রামের ১ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধসহ পাকা সড়ক বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তালতলা বেড়ীবাঁধসহ পাকা সড়ক ও উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মাষ্টারহাট ও আলমনগর এলাকায় বেড়ীবাঁধ বিধ্বস্ত হয়।
দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজল জানান, প্রচন্ড বৃষ্টির কারনে বরাদ্ধকৃত চাল বিতরন করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও ক্ষতি যে পরিমান হয়েছে তার চেয়ে অনকে কম বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে তাই দিতে দেরী হচ্ছে। তবে বৃষ্টি কমলে বিতরন করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ এর উপ সহকারি প্রকৌশলী আবদুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্থ বেড়ীর মেরামতের কার্যক্রম চলছে।
উপজেলা এলজিইডি এর সহকারি প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, জোয়ারে ২ শত মিটার পাকা সড়ক বিধ্বস্ত হয়।
এই ব্যাপারে মনপুরা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রুহুল আমিন জানান, মনপুরায় ১০ টান চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত দূর্গত এলাকায় চাল বিতন করা হবে