ছেলে সাংবাদিক, তাই কলেজ শিক্ষক পিতার উপর হামলা

নিউজ ডেস্ক , আমাদের ভোলা.কম।

প্রকাশিত সংবাদের জেরে নরসিংদী জেলার মনোহরদীতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ইন্ধনে এক সাংবাদিকের কলেজ শিক্ষক পিতার উপর হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে কলেজ শিক্ষককে মারধর করা হয়। বর্তমানে তাকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হামলার শিকার ওই শিক্ষকের নাম অধ্যাপক রিয়াজ উদ্দিন। তিনি মনোহরদী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অর্থ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের চবি প্রতিনিধি ও ভয়েসবিডি২৪.কমের সাব এডিটর মুনাওয়ার রিয়াজ মুন্নার পিতা। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাংবাদিক মুনাওয়ার রিয়াজ মুন্না বলেন, সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়িতে ফিরছিলেন আমার বাবা। পথিমধ্যে লেবুতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকিরের চাচাতো ভাই মোয়াজ্জেম আকন্দ আমার বাবার গতিরোধ করে। এসময় হারুন আকন্দ ও তার ভাতিজা তন্ময় আকন্দ লাঠি ও রড দিয়ে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করে এবং অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। তিনি বলেন, এঘটনার পরপর লেবুতলা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির আকন্দ শতাধিক লোকজন নিয়ে আমার আহত বাবাকে হাসপাতালে নিতে বাধা ও বাড়ি ঘেরাও করে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়। পরে রাত ৯ টায় পুলিশের সহায়তায় তাকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এই ঘটনায় রাতে মনোহরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন মুন্না। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন আকন্দ একবার এক এক কথা বলেন। তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। এলাকায় আমার ভাতিজা তাকে মারধর করছে বলে শুনেছি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। আবার আমি সেখানে গিয়ে শুনছি তাকে হাসপাতালে নিতে দেয় না, আটকায়ছে। আবার শুনছি পুলিশ আসছে। তিনি আরো বলেন, আমি আগামীকাল (আজ) বসে আমরা মিটমাট করে ফেলবো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনোহরদী থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, মারধরের ঘটনা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নিবো। প্রসঙ্গত, ‘স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি চেয়ে বিষ হাতে নারীর অনশন’ শিরোনামে ফেসবুকে একটি ভিডিও তথ্যচিত্র তুলে ধরেন ওই সাংবাদিক। সে সাক্ষাৎকারে ঐ নারী মাহাবুরের সাথে তার সংসার গড়ার ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলার বাধা দিচ্ছেন মর্মে অভিযোগ করেন এবং তাকে ওখান থেকে না সরলে মেরে বস্তায় ভরে ফেলে দেয়ার হুমকিও দেন তারা। ফলে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আক্রমণ করে।

সূত্র – newsnow24.com

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।