উইকিপিডিয়াতে ” ইসকন ” এর পরিচিতি
ডেস্ক রিপোট, আমাদের ভোলা.কম।
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) বা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ একটি হিন্দু বৈষ্ণব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।[১]১৯৬৬ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।[২] ইসকনের মূল ধর্মবিশ্বাসটি শ্রীমদ্ভাগবত ও ভগবদ্গীতা গ্রন্থদ্বয়ের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।[৩] এই সংগঠন গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের অনুগামী। উক্ত মতটি খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে প্রবর্তিত হয় এবং ১৯৩০-এর দশক থেকে পাশ্চাত্য সমাজে ধর্মান্তরণের কাজ শুরু করে।[৪] ইসকন একটি অসাম্প্রদায়িক সংগঠন।[৫]ভক্তিযোগ এই সংগঠনের মূল উপজীব্য। স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণকে তুষ্ট করাই এই প্রতিষ্ঠানের ভক্তদের জীবনের মূল লক্ষ্য বলে বিবেচিত হয়।[৬][৭]
সংক্ষেপে | ইসকন (ISKCON) |
---|---|
গঠিত | ১৩ জুলাই ১৯৬৬ নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ধরণ | ধর্মীয় |
উদ্দেশ্য | জনসেবা শিক্ষা ধর্মচর্চা অধ্যাত্মচর্চা |
সদর দপ্তর | মায়াপুর, নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ |
যে অঞ্চলে কাজ করে
|
বিশ্বব্যাপী |
অনুমোদন | গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম |
ওয়েবসাইট | ISKCON.com |
২০০৯ সালের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে সারা বিশ্বে ইসকনের ৫০০০০ টিরও বেশি মন্দির এবং কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৬০টি খামার সংগঠন (কয়েকটি স্বনিযুক্তি প্রকল্প সহ), ৫৪টি বিদ্যালয় ও ৯০টি ভোজনালয়। বর্তমানে পূর্ব ইউরোপে (সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর) ও ভারতে এই সংগঠনের সদস্যসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।[৮][৯]
তবে বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ইসকনকে নিয়ে নেতীবাচক ধারনা জন্মেছে। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে ইসকন ফুড ফর লাইফের খাবার বিতরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায় শিশুদের খাওয়ার পূর্বে জয় শ্রীরাম বলা হচ্ছে। অবশ্য এ নিয়ে পরবতর্তীতে দুঃখ প্রকাশ করে ইসকন। প্রসাদ খাইয়ে শিক্ষার্থীদের ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মন্ত্র পাঠ করার ঘটনাকে ‘অন্যায়’ বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
উইকিপিডিয়া থেকে সংগৃহীত