অ্যামাজনের আগুন নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা নেই ব্রাজিলের
ডেস্ক রিপোট , আমাদের ভোল.কম।
অ্যামাজন জঙ্গলে লাগা ভয়াবহ আগুন নেভাতে সরকারের অক্ষমতার কথা স্বীকার করলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। সেইসঙ্গে আবারও আগুনের জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলোকে দায়ী করেছেন তিনি। তবে এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগুনের ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বুধবার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, সরকারি তহবিল কমিয়ে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতেই বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওগুলো অ্যামাজনে আগুন লাগিয়ে থাকতে পারে। এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তো কাউকে সরাসরি দোষারোপ করিনি, আমি স্রেফ সন্দেহের কথা জানিয়েছি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অ্যামাজনের আয়তন ইউরোপের চেয়ে বেশি। এতো বড় এলাকার আগুনের সঙ্গে আপনি কীভাবে লড়বেন? এর সঙ্গে লড়াই করার মতো জনবল বা ক্ষমতা আমাদের নেই।’
শুষ্ক মৌসুমে অ্যামাজনে দাবানল একটি স্বাভাবিক ঘটনা হলেও পরিবেশবাদীরা বলছেন এবারের আগুনের ভয়াবহতা অনেক বেশি। এজন্য তারা ব্রাজিল সরকারের নীতিকে দায়ী করছেন। তাদের দাবি সরকারের কৃষি বিষয়ক নতুন নীতির কারণেই পুড়ে উজাড় হচ্ছে অ্যামাজন।
অ্যামাজন দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশের অংশ রয়েছে তবে এর তিনভাগের দুই ভাগই ব্রাজিলে। তাই ব্রাজিল সরকারের গৃহীত বিভিন্ন নীতিকেই অগ্নিকান্ডের কারণ বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পরই রেকর্ড সংখ্যক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে অ্যামাজনে। পরিবেশবাদীদের দাবি, বন সংরক্ষণে অতীতের সরকারগুলোর নীতির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বলসোনারো।
বুধবার জাতিসংঘ আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এক বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হন ব্রাজিলের পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী রিকার্ডো সালেস।
শনিবার থেকে ফ্রান্সে শুরু হতে যাওয়া জি সেভেন সম্মেলনে অ্যামাজনের আগুনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে টুইট করে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। তিনি বলেন, যেহেতু এটি গোটা বিশ্বের জন্য জরুরি অবস্থা তাই এটা নিয়ে জি সেভেন সম্মেলনেই আলোচনা হওয়া উচিত।