সোমবার উদ্বোধন হতে পারে ভোলার পিসিআর ল্যাব

বিশেষ প্রতিনিধি, আমাদের ভোলা.কম।

একদিন পরেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে করোনা সনাক্তের মেশিন পিসিআর ল্যাব। এটি চালু হলে ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হবে। সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ সোমবার (১৩ জুলাই) এ ল্যাবের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। মেশিনটি চালুর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি এখন চালুর অপেক্ষায়। এটি চালু হলে প্রতিদিন গড়ে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস নমুনা সংগ্রহের পর রিপোর্ট পেতে গড়ে এক সপ্তাহের বেশী সময় লাগতো ভোলাবাসীর। আর তাই উপসর্গ নিয়েই দীর্ঘ প্রতিক্ষায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতো হতো রোগীদের।

এতে ভোগান্তিও পোহাতে হতো তাদের। কিন্তু এখন সেই অপেক্ষার দিন শেষ। এখন নিজ জেলাতেই মিলবে করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট। এতে খুশি ভোলার মানুষ।
কয়েক জানান, আগে আমাদের নমুনা দিয়ে রিপোর্টের জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো। এখন আর সেটি হচ্ছে না আমরা দ্রুত রিপোর্ট পেয়ে যাবো। আগে যেমন সীমিত পরীক্ষা হতো এখন অনেক মানুষ পরীক্ষা করতে পারবো।
সুত্র জানিয়েছে, জেলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে বসানো হয়েছে করোনা সনাক্তের পিসিআর ল্যাব মেশিন। যা এটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
সাবেকমন্ত্রী ও সদর আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ ল্যাবটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এটি উদ্বোধন হলেই ওইদিন করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য ল্যাবের যাবতীয় সকল প্রস্তুতিও শেষ করেছে কর্মকর্তারা।
পিসিআর ল্যাবের দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা ডা: ফারজানা মিম বলেন, ল্যাবের পরীক্ষমূলক চালু করা হয়েছে, এটি এখন চালুর অপক্ষোয় সব ঠিক থাকলে সোমবার এটি চালু হবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যাদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ১৯৯ জন। তবে করোনায় মারা গেছে ৫জন।
বর্তমানে গড়ে ২৫ থেকে ৫০টি করে নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। জেলায় এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৩ হাজার ৯৭৫টি নমুনা পরীক্ষা সংগ্রহ হয়েছে এবং রিপোর্ট এসছে ৩ হাজার ৭৬৯টি। জেলায় সর্বমোট কোয়রেন্ট করা হয়েছে ৫ হাজার ১৮৫ জনকে এবং ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৮৯৬জনকে। জেলায় বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টেনে আছেন ২৮৯জন। আইসোলেশনে আছে ১৩জন। বাকিরা নিজ বাড়িতে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আইসোলেশনে আছেন।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা: রতন কুমার ঢালী বলেন, ল্যাবটি চালু হলে প্রতিদিন গড়ে ১৮৮জনের নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে। তখন আর পরীক্ষা নিয়ে কোন ভোগান্তি হবে না। মানুষ পুরোপুরি সেবা পাবে। ল্যাবে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, এটি এখন চালুর অপেক্ষায়।
এদিকে করোনার নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট নিয়ে যে ভোগান্তি ছিলো ল্যাব মেশিনটি চালুর মদ্যদিয়ে তার অবসান হলে করোনা ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন ভোলাবাসী।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

মার্চ ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« ফেব্রুয়ারি    
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।