মনপুরায় মসজিদ কমিটির সভাপতি কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ ।

স্টাফ রিপোর্টার ।

মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত অলিউল্লাহ মৌলভী বাড়ীর জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ: বেলায়েত হোসেন কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে । মোঃ বেলায়েত হোসেন অভিযোগ করে বলেন তাজুল ইসলাম ও হোসেন মাস্টার আমাকে, আমার স্ত্রী শাহানুর ও ছেলে শাফায়েত কে মেরে আহত করে উল্টো মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে । মনপুরা থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয় যার নং ৩৪/২১ । মামলায় আমি বেলায়েত হোসেন, আমার ছেলে সাফায়াত হোসেন, আমার ভাগিনা সুফিয়ান সহ আমার দুই ভাই ও আমার বেয়াই কে মামলার আসামি করা হয়েছে। এ মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে আমি এখন চরম ভোগান্তিতে রয়েছে । সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে আমি ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।

প্রকৃত ঘটনা হলো গত ১১ ই জুন দুপুরের দিকে আমি বেলায়েত হোসেন ও আমার ছেলে মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন এর সাথে মসজিদের ভিতরে বসে আমার একই এলাকার তাজুল ইসলাম, ভূঁইয়ার হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন, শিক্ষক বেলাল, মনির ও মান্নান এর সাথে মসজিদের বিষয় নিয়ে সামান্য বিরোধ ও কথা-কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে বেলাল, মনির ও মন্নান আমাকে ও আমার ছেলে সাফায়েত কে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিয়া জখম করে। ওই ঘটনার পরে ওই দিনই ১১ জুন দুপুরবেলা হোসেন গংরা নামাজ পড়ে মসজিদ হতে বের হয়ে পশ্চিম পাশে রাস্তায় পৌঁছানো মাত্রই আমার স্ত্রী শাহানুর বেগম হোসেন, বিল্লাল, মনির ও মান্নানকে জিজ্ঞেস করে কেন তারা অযথা আমাকে ও আমার ছেলে কে মারলো? জিজ্ঞেস করা মাত্রই শিক্ষক হোসেন আমার স্ত্রী শাহানুর কে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে । শাহানুর তাদেরকে গালমন্দ করতে নিষেধ করলে শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন উত্তেজিত হয়ে আমার আমার স্ত্রীর ডান কানে সজোরে লাঠি দিয়ে বাড়ি মারে এতে শাহানুরের কানের পর্দা ফেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। তখন শাহানুর মাটিতে পড়ে গেলে বেল্লাল আমার স্ত্রীর কাপড় ছিড়িয়া শ্রীলতাহানি করে । তখন হোসেন শাহানুরের গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন (মূল্য আনুমানিক ৩৫ হাজার টাকা) নিয়ে যায় । তখন শাহানুরের ডাক চিৎকারে মসজিদে অবস্থান করা মোহাম্মদ আবু, মান্নান ও হাজী মোহাম্মদ উল্লাহ সহ আরও ৪-৫ জন মুসল্লি এসে শাহানুর কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

মোঃ বেলায়েত হোসেন আরো বলেন তাজুল ইসলাম ও তার ছেলে শিক্ষক হোসেন দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ । তারা এলাকার অনেকের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলা করে । এর আগে তাজল ইসলামের প্রতিবেশি মিলন সম্রাট ও হিমু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর কয়েকবার তাজল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিল।

বিগত ৬ মাস আগেও তাজল ইসলাম আমার ভাগিনা সুফিয়ানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছিল ।

এ বিষয়ে তাজল ইসলামের ছেলে শিক্ষক হোসেনের কাছে হামলা ও স্বর্ণের চেইন লুটপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন ।

মনপুরা থানার অফিসার্স ইনচার্জ বলেন দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।