ভোলায় চাকুরি র্পুনবহাল এর দাবিতে শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন

চাকুরি র্পুনবহাল এর দাবিতে শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোটার।

ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নে ওবায়দুল হক বাবুল মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বরখাস্ত আদেশকে অবৈধ ঘোষনা করে নিয়োগ বহাল রাখার রায় দেয় মহামান্য হাইকোর্ট। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির লোকজন মহামান্য হাই কোর্টের রায়কে না মেনে নিয়োগ বহাল না করে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোলার একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন লিখিত অভিযোগে বলেন, ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ওবায়দুল হক বাবুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। আমি ওই বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন করি। তারই প্রেক্ষিতে ১৫/০৩/২০০৪ইং তারিখে আমি সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করে নিয়মিত ক্লাশ নেওয়া শুরু করি এবং হাজিরা খাতায় প্রতিদিন স্বাক্ষর দেই। আমি ৩/৪ মাসের বেতনও উত্তোলন করেছি। কিন্তু তৎকালীন প্রধান শিক্ষক পরিবর্তন হয়। নতুন প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন এসে আমাকে সহ-প্রধান শিক্ষক হিসাবে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিতে বাধা দেন। জাকির হোসেনর পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সহকারী শিক্ষক সরোয়ার হোসেন দায়িত্ব পালন করেন। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন আমার বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয় এবং আমাকে ষড়যন্ত্র করে জোরপূর্বক বরখাস্ত করা হয়। আমি বিভিন্নভাবে যোগদানের চেষ্টা করেও যোগদান করতে ব্যর্থ হই। পরবর্তীতে চাকরী ফিরে পেতে আমি মহামান্য হাই কোর্টে একটি মামলা দায়ের করি। (মামলা নং-৮১৬৫/২০০৭)। মহামান্য হাইকোর্ট আমার মামলাটি আমলে নিয়ে বরখাস্ত আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করে চাকুরী পূর্নবহালের জন্য ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি এ বিষয়ে কোন প্রদক্ষেপ না নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টের রায়কে না মেনে জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়াও মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডি বরিশাল থেকে আমার বেতন প্রদানের জন্য প্রধান শিক্ষক বরাবর (যার স্মারক নং-১২১/৪৯৩/(৩)৩) একটি চিঠি প্রেরণ করেন। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন আমাকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ বাধা দেন। এ অবস্থায় আমি বেতন সহ আমার চাকরী বহাল রাখার জন্য নি¤œ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং-০৬/২০১৯ইং।
আমি চাকরী ফিরে পেতে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু বলেন, গিয়াস উদ্দিনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। তার কার্যকলাপে বিদ্যালয় থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে সে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার রায় দেওয়া হলে, সেটির বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। মামলা কোটে চলমান রয়েছে
এ ব্যাপারে জানতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেনের ব্যবহৃত ০১৭৩৫৩৭৫৭৩৯ নাম্বারে কয়েকবার যোগাযোগের চেস্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।