চরফ্যাসনে পৌর কাউন্সিলর সামুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

এম আবু সিদ্দিক বিশেষ প্রতিনিধিঃ

চরফ্যাসন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামুর জনকল্যাণমুলক কাজে ঈর্শান্বিত হয়ে একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন।
শনিবার পৌর এলাকার কলেজ পাড়াস্হ রাস্তার পাশে অবৈধভাবে (দেয়াল) স্হাপনার নির্মাণকান্ড নিয়ে একই এলাকায় বসবাসরত সাবেক কমিশনার ও তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সাথে পৌরসভার রায় বাস্তবায়ন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

পৌরসভা কর্তৃক সম্প্রতিক একটি অভিযোগ নিয়ে বুধবার সকালে কাউন্সিলর সামু ঘটনাস্হলে গিয়ে পক্ষ-বিপক্ষদের সুষ্ঠু ফয়সালার জন্য ডাকেন। পৌরসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অভিযুক্ত সাবেক কমিশনার জয়নাল আবদিন কে অবৈধ স্হাপনা এবং প্রতিবেশীদের স্বাভাবিক চলাচলের রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী সরাতে বললে জয়নাল তার স্ত্রী সামুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলে পৌরসভার এই সিদ্ধান্ত আমরা মানিনা।

এসময সামু পাশের দোকান থেকে হাতুরি দিয়ে নিজ হাতে দেয়াল ভাঙ্গার কাজ শুরু করলে জয়নাল ও তার স্ত্রী মমতাজ সামুর গেন্জীর কলার ধরে। খুন করে ফেলবো বলে ঘর থেকে বটি নিয়ে আসতে বললে এসময় তিনজনের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে মমতাজ গ্রীলের উপরে পরে আঘাত পায়। এই ঘটনাকে অপপ্রচার করে সামুকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়নালের পরিবার ও নির্বাচনে পরাজিত শক্তিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এনিয়ে সামু ও তার বড় ভাইকে অভিযুক্ত করে চরফ্যাসন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। ওসি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি ঘটনার তদন্ত চলছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ঘটনায় গতকাল রাতে প্রকৃত ঘটনার চিত্র তুলে কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু তার বাসভবনে এক সাংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি বলেন, জনগন চতুর্থ বারেরমত আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জনগন নির্বাচিত আমাকে করেছেন। আমি তাদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। আমার নেতা জননেতা আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহোদয়ের নির্দেশনায় প্রতিনিয়ত নাগরিকদের সার্বিক সেবাদানে কাজ করে যাচ্ছি। নিজের স্বার্থে কখনও চিন্তা করিনা। সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করি।

পৌরসভায় অভিযোগটি পেয়ে আমি সবাইকে নিয়ে সামাজিক ফয়সালার দিন তারিখ নির্ধারন করি। সাবেক কমিশনার পৌরসভার দেয়া কোন সিদ্ধান্ত মানেনা।সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে তারা স্বামী-স্ত্রী আমার উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। আমার গেন্জির কলার চেপে ধরে বটি দিয়ে আমাকে খুন করার জন্যধস্তাধস্তি করে। তিনজনের ধস্তাধস্তিতর এসময় মহিলা গ্রীলের উপরে পড়ে আহত হয়। আমার সাথে নির্বাচনে পরাজিত শক্তিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমাকে কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় সামাজিকভাবে হেয় করা হল।আমার বিরুদ্ধে চাদাঁদাবি ও মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে। আমি সামু কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর যদি কারও কাছে দশ টাকা চাদাঁবাজি করার স্পষ্ট প্রমান দেখাতে পারেন তাহলে স্বেচ্ছায় আমি কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করার অঙ্গিকার করছি। যারা ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে তাদের বিচারের ভার পৌরবাসির হাতে দিলাম। এই ঘটনায় আমার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ ছিলনা। জীবনে আমি কখনো নিজের স্বার্থের কথা ভাবিনা, সব সময় পৌরবাসিদের সুখ দুঃখে তাদের পাশে দাড়াই।
এদিকে সাবেক কমিশনার জয়নাল মিয়া দাবি করেন তার বাড়ির দেয়াল ভাঙ্গতে সামু হাতুরি নিয়েছে। বাধাঁ দেয়ায় তার স্ত্রীকে ধাক্কা মারে। এতে মাথায় চোট লাগে।সামু ও তার ভাই মীরুর বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।
চরফ্যাসন থানার ওসি জানান অভিযোগের তদন্ত চলছে।পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।