৫ বছরের একটি সংসারের করুণ পরিণতি
অনলাইন ডেস্ক, আমাদের ভোলা.কম।
বর্ণালী মজুমদার বন্যা (২৩) ও মিথুন চন্দ্র দে’র বিয়ে হয় পাঁচ বছর আগে। তাদের একটি দেড় বছরের মেয়ে রয়েছে। রাজধানীর বনশ্রীতে তাদের ছিমছাম সংসার সুখী হওয়ারই কথা। কিন্তু তা হয়নি।
মঙ্গলবার বর্ণালী আত্মহত্যা করেন। প্ররোচনার অভিযোগ ওঠে তার স্বামী মিথুনের বিরুদ্ধে। নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বর্ণালী।
নিহত বন্যার পরিবারের দাবি স্বামীর পরকীয়া নিয়ে দাম্পত্য কলহের জেরে এ আত্মহত্যা।
এ বিষয়ে রামপুরা থানার পুলিশ জানায়, বর্ণালী স্বামীর পরিবারের সঙ্গে বনশ্রীর এ ব্লকের ২ নম্বর সংলগ্ন একটি বাসায় থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে ১১টার দিকে স্বামী মিথুন চন্দ্র ওই বাসা থেকে বর্ণলীকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার নিহতের মা শিখা রানী সেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বর্ণালীর স্বামী মিথুন চন্দ্রকে আসামি করা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বর্ণালীর সঙ্গে পাঁচ বছর আগে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিথুন চন্দ্র দের বিয়ে হয়। তাদের দেড় বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর মিথুন বিভিন্ন নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিষয়টি জানতে পেরে বর্নালী প্রতিবাদ করলে মিথুন তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত।
আত্মহত্যার প্ররোচনার বিষয়ে মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘আসামি (মিথুন) আরো বলত, ‘তুই মর, তুই যদি মরিস তাহলে তোর চেয়ে সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করতে পারব’ বলে মানসিকভাবে নির্যাতন করত। উক্ত আসামির অত্যাচার সহ্য করতে না পারিয়া এবং আমার মেয়েকে উক্ত আসামি আত্মহত্যার প্ররোচনা প্রদান করায় বাধ্য হইয়া আমার মেয়ে আত্মহত্যা করিয়াছে’।
বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় স্বামী মিথুন চন্দ্রকে আটক করেছে রামপুরা থানা পুলিশ।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস ফকির জানান, প্রাথমিক ধারণায় এটা আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে প্রত্যেকটা মৃত্যুও একটা কারণ থাকে। এর পেছনে মেয়ের স্বামী মিথুনের প্ররোচনা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
সূত্র – দেশ রুপান্তর