রাজনৈতিক আশ্রয় না পেলে নয়ন বন্ডরা তৈরি হতে পারে না : তোফায়েল আহমেদ

অনলাইন ডেস্ক, আমাদের ভোলা.কম।

আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধিসভায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড; যে নয়ন বন্ডের নেতৃত্বে বরগুনায় প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। তাঁর বক্তব্যের বেশির ভাগ জুড়েই ছিল নয়ন প্রসঙ্গ। আরো অন্তত চার নেতা রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়নের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের ইঙ্গিত করে বক্তব্য দেন।

সভার প্রধান বক্তা তোফায়েল আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নয়ন বন্ড এক দিনে তৈরি হয়নি। রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় না পেলে নয়ন বন্ডরা তৈরি হতে পারে না।’ বরগুনার আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কেন খেয়াল রাখছেন না।

তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরগুনার ঘটনাটি অবগত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে আসছেন। নয়ন বন্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধিসভা শুরু হয়। দলের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্র সভাপতিত্বে এ সভা হয়। শুরুতেই আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু প্রতিনিধিসভায় যোগ দিলেও কোনো বক্তব্য দেননি। তবে সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, নয়ন বন্ডের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হিসেবে আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেই শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। শুরু থেকেই সুনাম দেবনাথ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা তাঁর বাবার সুনাম ক্ষুণ্ন করতেই মিথ্যা বলছেন।

জাহাঙ্গীর কবীরের বক্তব্যের পর সেখানে থাকা সংবাদকর্মীদের বাইরে যেতে অনুরোধ করা হয়। সংবাদকর্মীরা বের হয়ে যাওয়ার পর দলীয় অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। তাঁদের বক্তব্যের পর অতিথিরা বক্তব্য দেন। প্রতিনিধি সভায় অংশ নেওয়া অন্তত চারজন জনপ্রতিনিধি নয়ন বন্ডকে নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বরগুনার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনার সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেই দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দলের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, বরগুনার ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি যারা ক্ষুণ্ন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ফোরামে (ওয়ার্কিং কমিটি) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজ মল্লিক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ্।

সূত্র – কালের কন্ঠ

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

সেপ্টেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« আগষ্ট    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।