দৌলতখানে জাল দলিলের প্রতারনা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীর জামিন নামঞ্জুর
![](https://amaderbhola.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ সালাহউদ্দিন ॥
ভোলার দৌলতখানে জাল দলিল করে জমি দখলের প্রচেষ্টা করায় প্রতারনা মামলার আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম। গত সোমবার (৩ জুলাই) মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে আসলে বিজ্ঞ আদালত প্রতারক রফিকুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের নলগোড়া গ্রামের মৃত আবদুল ওহাবের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম একই এলাকার মোঃ মোশারফ হোসেন গংদের জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করে আসছিলো। রফিকুল ইসলাম ও তার বাহিনী লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মোশারেফ গংদের ভোগদখলীয় জমিতে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতান্ডা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে বসার প্রস্তাব দেয়। গত ০২-১১-২০১৯ইং তারিখে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিসে বসলে রফিকুল ইসলাম দলিলের একটি ফটোকপি পেশ করে। পরে শালিসদারগণ পুনরায় তারিখ দিলে রফিকুল ইসলাম সেই দিন উপস্থিত হয়নি। জমির মালিক মোশারফ হোসেন সাবরেজিষ্ট্রী অফিসে উক্ত দলিল খোঁজ নিলে রফিকুলের দলিলটি জাল প্রতারনামূলক বলে জানতে পারেন। এক পর্যায়ে মোশারেফ হোসেন বাদী হয়ে জাল দলিল দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-সিআর ১৭৫/২০২১খ্রি: (দৌলতঃ)। বিজ্ঞ আদালত ওই মামলার তদন্ত সিআইডির কাছে দিলে দীর্ঘ তদন্ত শেষে যাচাই-বাছাই করে রফিকুল ইসলামের দলিল জাল বলে প্রমানিত হয়। সিআইডির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রফিকুলের দলিল জাল প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে প্রতারক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। গত সোমবার (৩ জুলাই) ওই মামলায় রফিকুল ইসলাম জামিন পাওয়ার জন্য আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন।
জমির মালিক মোশারেফ হোসেন বলেন, মৃত আবদুল ওহাবের ছেলে প্রতারক রফিকুল ইসলাম জাল দলিল দিয়ে আমাদের ভোগদখলীয় জমি দখলের করতে আসে। তার দলিল নিয়ে শালিস বৈঠকে বসলে সে একটি ফটোকপি নিয়ে আসে। আমাদের সন্দেহ হলে আমরা সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে খোজঁ নিয়ে দেখি তার দলিলটি জাল। পরে আদালতের সম্পন্ন হয়ে প্রতারক রফিকুলের বিরুদ্ধে মামলা করি। আদালত তদন্ত দিলে রফিকের দলিল জাল প্রমানিত হয়। প্রতারনা করে জাল দলিল করায় আদালত রফিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে। রফিক জামিন নেওয়ার জন্য আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরন করে।