ছেলেধরা সন্দেহে এলাকাবাসীর গণধোলাই, পরে জানলেন বাবা-ছেলে!

নিউজ ডেস্ক , আমাদের ভোলা.কম।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হবার পালা। নারায়নগন্জ শহরের সড়কগুলোয় এখনও ব্যস্ততা কেটে যায় নি। প্রতিনিয়ত পথচারীদের সমাগম ফুটপাতে। ঠিক এমনই সময় কানে আসে শিশুর কান্নার গুঞ্জন। আশে-পাশে তাকাতেই চোখে পড়ে তিন শিশুকে নিয়ে রিকশায় চড়েছেন এক যুবক।যুবকটি বকে চলেছেন আর শিশুরা কাঁদছে। দেখে মনে হয়, যুবকটি শিশুদের কেউ নন। আর তাই রিকশাটির নিকটে ভিড় করে পথচারীরা। তার থেকে শিশুদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এর পরপরই ভীড় থেকে কেউ গালিগালাজ করছে, আবার কেউ চর-থাপ্পর দিচ্ছে যুবকটিকে।এমনভাবেই নগরীর ২নং রেলগেটে ছেলেধরা সন্দেহে আটক হয়েছেন একজন যুবক। পেশায় তিনি রিকশাচালক।

বুধবার (১০ জুলাই) বিকাল ৪ টার দিকে ২নং রেল গেটের ফজর আলী ট্রেড সেন্টারের সামনে সাব্বিরকে (ছদ্মনাম) আটক করে এলাকাবাসী। এসময় তার সাথে ছিল ৬-১০ বছরের ৩ শিশু। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৩ শিশুকে বকতে বকতে ও পি*টুনি দিয়ে রিকশায় তুলছিলেন সাব্বির। তা দেখে পথচারীদের মধ্যে অনেকরই সন্দেহ হয়, শিশুদের অ*পহরণ করছে সে। পরে এলাকাবাসীদের মধ্যে অনেকেই রিকশা থামিয়ে দেয় ও সাব্বিরকে আটক করে। এসময় তাকে পি*টুনী দেয়া হয় ও পরে ২নং রেল গেট পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাব্বির নগরীর নাগবাড়ীর বাসিন্দা। ওই তিন শিশুর মধ্যে একজন তার সন্তান। অন্য দুইজানের বাবার নাম আনোয়ার হোসেন ও জেসী। বুধবার সকাল ১১টার দিকে সেই তিন শিশু বন্দর ঘাটে ঘুরতে আসে। এদিকে, সন্তান না বলে বেরিয়ে যায় বলে সাব্বির খোঁজাখুজি শুরু করে দেয়।পরে দুপুর ৩ টার দিকে বন্দর ঘাটে তার সন্তানের সন্ধান পায়। এসময় সে তার সন্তান ও অন্য দুই শিশুকে নিয়ে আসে। পথিমধ্যে শিশুদের বকা-ঝকা করে।

এসময় এলাকার লোক ছেলে ধরা সন্দেহে সাব্বিরকে আটক করে।পুলিশ আরও জানায়, অন্যান্য শিশুদের পিতা-মাতাকে বক্সে আনা হয়। এরপর তাদের নিকট শিশুদের হস্তান্তর করা হয়। পরে সাব্বিরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

জানুয়ারি ২০২৫
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« ডিসেম্বর    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।