চরফ্যাশনে গলাকাটা আতঙ্ক
চরফ্যাশন প্রতিনিধি, আমাদের ভোলা.কম।
চরফ্যাসনের প্রত্যন্তগ্রাম থেকে পৌরশহর পর্যন্ত সর্বত্র গলাকাটা এসেছে, শিশুদের গলাকেটে নিচ্ছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুদের সাবধানে রাখার পরামর্শমূলক ম্যাসেজ মোবাইল থেকে মোবাইলে পাঠিয়ে একটি বিশেষ চক্র এমন গুজব ছড়িয়েছে বলে জানা গেছে। গুজব এখন রীতিমত আতংকে পরিনত হয়েছে। ভয়-আতংকে শিশুরা ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে আজ শনিবার উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি অপ্রত্যাশিত রকম কমেগেছে শিক্ষকরা জানিয়েছেন।
চরফ্যাসন উপজেলায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকরা জানান, শুক্রবার থেকে গুজবটি ছড়াতে শুরু করে। মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে শিশুদের সাবধানে রাখার পরামর্শ দিয়ে একটি চক্র সাধারন মানুষের মধ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গুজবটি ছড়িয়ে দেয়। আজ শনিবার পর্যন্ত গুজব ভয়াবহ আতংকে পরিনত হয়। কেবল শিশু নয়, বিভ্রান্ত হয়ে পরেছেন অভিভাবকরাও। আতংকে অভিভাবকরা শিশুদের ঘরবন্দি করে রেখেছেন। অনেকে অভিভাবক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, থানা পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে আসল ঘটনা জানতে চেয়েছেন। আজ শনিবার চরফ্যাসন উপজেলার সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রে ছিল এই গুজব।
চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, এটা স্রেফ গুজব। মানুষের অজ্ঞতাকে ভিত্তি করে এই গুজব ব্যাপক ডাল-পালা ছড়িয়েছে। কারা কোন উদ্দেশ্যে এমন গুজব ছড়িয়েছে তা বুঝা মুশকিল। তবে ব্যাপক প্রচারনার মাধ্যমে সকলকে গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
চরফ্যাসন থানার অফিসার ইন চার্জ সামসুল আরেফিন জানান, দিনভর সাধারন মানুষ থানায় ফোনদিয়ে আসল ঘটনা কি-জানতে চেয়েছেন। মোবাইল থেকে মোবাইলে ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ পাঠিয়ে গুজবটি ব্যাপক ভাবে ছড়ানো হয়েছে। এই গুজব ছড়ানোর নেপথ্যে কারা তাদের খুঁজে বের করতে সন্ধ্যার পর পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামবে। টিমের সদস্যরা গলাকাটা আসার বিষয়টি গুজব,যার কোন সত্যতা নেই বলে জনগনের মধ্যে প্রচারনা চালাবেন। পাশাপাশি পুলিশ গুজবের নেপথ্যে কারিগরদের চিহ্নিত এবং গ্রেফতার করবে।