‘দাঁড়ানো ছেলেগুলো দর্শক নয়, তারাই প্রথমে হামলা করে’

অনলাইন ডেস্ক, আমাদের ভোলা.কম

বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে কোপানোর সময় যারা চারপাশে দাঁড়িয়ে ছিল, তারাই রিফাতকে প্রথমে আক্রমণ ও মারধর করে বলে জানিয়েছেন রিফাতের স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নি। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, বারবার সাহায্য চাওয়ার পরও দূরে দাঁড়িয়ে যারা দেখছিল, তাদের কেউ রিফাতকে বাঁচাতে বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য এগিয়ে আসেনি।
ভিডিও ফুটেজে অনেক মানুষ দেখা গেছে, তারা কী করেছে জিজ্ঞেস করলে মিন্নি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে দেখেছে। আর কিছু ছেলে ছিল, যারা প্রথমে রিফাতকে আক্রমণ করে। পরে রাম দা নিয়ে দুই-তিন জন কোপায়। যে ছেলেগুলো দাঁড়ানো ছিল তারা দর্শক নয়, প্রথমে তারাই হামলা করে। আর আশপাশে সবাই দেখছে, কেউ আগাইয়া আসে নাই। কেউ কোনও রকম সহায়তা করে নাই। আমি বারবার তাদের বলছি, আমার স্বামীকে বাঁচাও, ছাইড়া দাও ওরে। কিন্তু কেউ আগায় আসে নাই। আমি একলাই তারে হাসপাতালে নিয়া গেছি।’
মিন্নি আরও জানান, চিৎকার করে অন্যদের সাহায্য চেয়ে, খুনিদের দুই হাতে জাপটে ধরে ও ধাক্কা দিয়ে সরিয়েও স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক চেষ্টা করেও ফেরাতে পারিনি। রাম দা নিয়ে আক্রমণ করে খুনিরা। আমি অনেক চেষ্টা করছি, অস্ত্র ধরছি, তাদের ধরছি, চিৎকার করছি। কেউ আগায়া আসে নাই। কেউ আমারে একটু হেল্প করে নাই। আমি একলা হাসপাতালে নিয়া গেছি।’
তিনি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘নয়ন, রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, ওই জায়গায় যারা ছিল প্রত্যেকের ফাঁসি চাই। সুষ্ঠু বিচার চাই, যাতে এরকম আর কোথাও না হয়।’
উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের ফেরাতে পারেননি। একাধারে রিফাতকে কুপিয়ে বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে হামলাকারীরা। তারা চেহারা লুকানোরও কোনও চেষ্টা করেনি। গুরুতর আহত রিফাতকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টার দিকে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন তিনি। প্রধান আসামি করা হয়েছে খুনের মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন নয়নকে, যে এলাকায় ‘নয়ন বন্ড’ নামেও পরিচিত। মামলার চার নম্বর আসামি চন্দনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্র – বাংলাট্রিবিউন

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

মার্চ ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« ফেব্রুয়ারি    
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।