ঐক্যবদ্ধ হোন, চাঁদাবাজদের প্রতিহত করুণ – এইচ এম নাহিদ

অতিথি প্রতিবেদক, আমাদের ভোলা.কম।
সাংবাদিকতা পেশাটি যেমন মহান তেমন দায়ীত্বশীলও, আবার এই পেশায় কিছু ঝুঁকি থাকলেও মজাটাও কিন্তু কম নয়। ফলে হাজার পেশার ভিড়েও এই পেশাটি একটি আলাদা ব্যক্তিত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।

বর্তমানে আমাদের দেশে পত্রিকা, টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও রেডিওর সংখ্যা কম নয়। ধাপে ধাপে বেশ কিছু টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টালের অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছে সরকার। সেগুলো একে একে প্রচারেও আসছে। কিন্তু এর অনেক আগেই ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা কয়েকশ ছাড়িয়েছে। তারপর আরো কয়েকশ আছে সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিকসহ কিছু পত্রিকা। আর অনলাইন নিউজ পোর্টালের তো কোন হিসেবই নেই। নিউজ পোর্টালের রেজিস্ট্রেশনের আবেদন পরেছে প্রায় ত্রিশ হাজারের বেশি।

জাতীয় দৈনিকের সংখ্যা কয়েকশ থাকলেও আমরা চিনি মাত্র ২০-৩০টি। বাকিগুলোর নাম পরিচয় মানুষ খুব একটা জানেনা ও বাজারেও কিনতে পাওয়া যায়না। খারাপ বিষয় হলো, সেইসব পত্রিকাতে টাকার বিনিময়ে সাংবাদিকের আইডি কার্ড কিনতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে মফস্বলে এই বিষয়টি বেশি লক্ষ্য করা যায়।

গণমাধ্যম গণমানুষের কথা বলে। তাই এই গণমাধ্যমে যখন সাংবাদিকের বদলে কোন অসাংবাদিক নিয়োগ করা হয় তখন সেই ব্যাক্তি আসলে কতটা গণমানুষের কথা বলতে পারবে এ বিষয়টি যথেষ্ট সন্দিহান।

আজকাল চোর-বাটপার থেকে শুরু করে সিএনজির ড্রাইভার, ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাছেও প্রেস কার্ড পাওয়া যায়। পুলিশি সমস্যাসহ যে কোন সমস্যায় পরলে তখন তারা সাংবাদিক পরিচয় দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসাধু লোকেরা অসাধু কর্ম করার সময় কোন সমস্যা হলে যেন সাংবাদিক পরিচয়ে বাঁচতে পারে সেজন্যই এই পরিচয় বহন করে। অনেক সময় পুলিশের হাতে আটক হওয়া কথিত ভূয়া সাংবাদিকদের কাছেও ওই সকল আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার প্রেস কার্ড পাওয়া যায়।

এইসব পত্রিকা, অনলাইন টিভি ও অনলাইন পোর্টলারের কার্ডধারী লোকেদের মধ্যে আরেকটি গ্রুপ আছে। এরা তথাকথিত এলাকার ছ্যাচকা চোর বাটপার। এরা যখন সাংবাদিক পরিচয়ে গ্রামে গঞ্জে,পাড়া মহল্লা ও হাট বাজারে পরিকল্পিত ভাবে প্রকৃত সাংবাদিকদের খাটো করার জন্য একাধিক প্রেস কার্ড ঝুলিয়ে সাধারন মানুষকে জিম্মি করে চাদাবাজি করে বেড়ায় তখন প্রকৃত সাংবাদিকরা পরে বিপাকে। সাধারন মানুষ একজন প্রকৃত সাংবাদিককেও ওই অপকর্মকারী চাদাবাজ চোর বাটপার ব্যক্তির সাথে মেলায়। তখন প্রকৃত সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হন।
সাংবাদিকতার মত এমন একটি মহান পেশাকে কুলশিত করার ধৃষ্টতা মেনে নেয়া যায়না।

প্রশাসন এই বিষয় গুলো কখনো দেখবেনা, কৌশলগত কারনেই তারা এই কাজটি করবেনা। এর জন্য প্রয়োজন প্রকৃত সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া।একমাত্র প্রকৃত সাংবাদিকরাই পারে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই হলুদ চাঁদাবাজ অপসাংবাদিকদের প্রতিহত করতে।

তাই নিজের সম্মান ও গণমাধ্যমকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই। আর যদি তাই না হয়, তাহলে আরো খারাপ কিছু দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ।

লেখক – এইচ এম নাহিদ

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

মার্চ ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« ফেব্রুয়ারি    
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।