ভোলায় আলোচিত জোড়া খুনের মূল আসামী গ্রেফতার
ইয়াছিনুল ঈমন, ভোলা .কম।
অবশেষে ভোলার বাপ্তায় আলোচিত ডাবল মার্ডারের মূল আসামী মোঃ মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন। গোপন সংবাদের ভিত্তিকে বুধবার (২৬ জুন) বিকাল ৩টায় পাবনার সিকদার জুটমিলের সামনে থেকে মামুনকে গ্রেফতার করা হয়।
ভোলা থানা সূত্রে জানা গেছে, ভোলার নতুন এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার এর যোগদানের ৪দিনের মাথায় অবশেষে ভোলার ডাবল মার্ডারের মূল আসামী মোঃ মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এর এসআই মতিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টীম পাবনা জেলার সিকদার জুটমিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাপ্তা ইউনিয়নের ভোটের ঘর এলাকার আলোচিত জোড়া খুনের মূল আসামী মোঃ মামুনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করে মামুনকে বরিশালে আনা হয়েছে। পরে তাকে ভোলা আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৩ মে ভোলার বাপ্তায় জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে মোঃ মামুন ও তার বন্ধু ফিরোজ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছোট ভাই মাসুম ও মাসুমের শ্যালক জাহিদকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই দিনই মামুন ও ফিরোজ পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মামুনের দুই ছেলেকে আটক করে। পালিয়ে থাকার কারনে দীর্ঘ ১ বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যার মূল আসামী মামুন ও ফিরোজকে গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ।
ভোলা থানার ওসি মোঃ ছগির মিয়া বলেন, ভোলার বাপ্তার ডাবল মার্ডারের মূল আসামী মামুনকে পাবনা জুটমিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাকে ভোলায় আনার পক্রিয়া চলছে। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, সদরের বাপ্তা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি পরিষদ সংলগ্ন এলাকার মোঃ মোস্তফা মাস্টারের ছেলে মোঃ মামুন (৪৫) এর সাথে ছোট ছেলে মাসুম (৩৫) এর দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে পুলিশের দোকান সংলগ্ন মোঃ মামুনের বন্ধু, কাশেম মাস্টারের ছেলে মোঃ ফিরোজের সাথে মাসুমের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাত ১১টার দিকে মোঃ মামুন, তার বন্ধু মোঃ ফিরোজ, ছেলে মোঃ শরীফ হোসেন ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাসুমের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা মাসুমকে কুপিয়ে জখম করে। হামলাকারীদের হাত থেকে মাসুমকে উদ্ধার করতে তার শ্যালক, কৃষি অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মোঃ জাহিদ এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। মাসুম ও জাহিদের আত্মচিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে ঝড়ো হলে মামুন, ফিরোজ, শরীফ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে মাসুম ও জাহিদকে মুমুর্ষ অবস্থা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রাতেই মামুনের বড় ছেলে মোঃ শরীফ ও ছোট ছেলে আরিফকে আটক করে।