বরগুনায় স্ত্রীর কামড়ে স্বামী আহত, হাসপাতালে ভর্তি
![](https://amaderbhola.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিউজ ডেস্ক, আমাদের ভোলা.কম।
বরগুনার আমতলী উপজেলার ডালাচারা গ্রামে স্ত্রী পিয়া আক্তারের কামড়ে স্বামী কাওসার পাহলান গুরুতর জখম হয়েছেন।
সোমবার রাত ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত কাওসার পাহলানকে মঙ্গলবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১২ সালে উপজেলার ডালাচারা গ্রামের আইউব আলী পাহলানের ছেলে কাওসারের সঙ্গে একই গ্রামের মোতালেব হাওলাদারের কন্যা পিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পিয়া ঠুনকো ঘটনায় স্বামী কাওসারকে মারধর এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে গালাগাল করে।
স্ত্রীর নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামী কাওসার বাবা-মাকে ছেড়ে তাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায়।
স্বামী কাওসারের অভিযোগ, স্ত্রী পিয়ার কথার অবাধ্য হলেই ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও তাকে মারধর করে। লোকলজ্জায় এ কথা এতদিন কাউকে জানাননি তিনি।
রোববার কাওসার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা থেকে এলাকায় আসেন। স্ত্রী পিয়া বায়না ধরেন স্বামীর বাড়িতে না গিয়ে তার বাবার বাড়িতে যাওয়ার। কিন্তু এতে কাওসার রাজি হননি। কাওসার তার বাবার বাড়িতে চলে যায় আর স্ত্রী পিয়া তার বাবার বাড়িতে যায়। সোমবার সকালে কাওসার শ্বশুরবাড়ি থেকে তার ছেলেকে নিয়ে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় পিয়া।
ওইদিন রাত ৯টার দিকে পিয়া তার ভাই রনি ও রাসেলসহ তার দুই সহযোগী শ্বশুরবাড়িতে যায়। ওই বাড়িতে গিয়ে স্বামীকে না পেয়ে ননদ রাবেয়াকে মারধর করে জোর করে ছেলেকে নিয়ে আসার চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে স্বামী কাওসার বাড়িতে এসে স্ত্রীর কাছে বোন রাবেয়াকে মারধর করার বিষয়টি জানতে চায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পিয়া ও তার সহযোগীরা স্বামী কাওসারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে জখম করে। এতে কাওসার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ৬ ঘণ্টার পর তার জ্ঞান ফিরে।
আহত কাওসার বলেন, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী পিয়া আমাকে নির্যাতন করে আসছে। লোকলজ্জায় এ কথা কাউকে বলিনি। ওর কথার অবাধ্য হলেই ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
তিনি আরও বলেন, মোবাইলে বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে আমার সামনে কথা বলে আমি এর প্রতিবাদ করলেই আমাকে ও ছেলেকে মারধর করে। সোমবার রাতে আমার বাড়ি থেকে ছেলেকে জোর করে নিয়ে যাচ্ছিল। এর প্রতিবাদ করলে আমার বোনকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। আমি আমার বোনকে মারধর করার কারন জানতে চাইলেই আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে জখম করেছে।
আমি ওর নির্যাতনে অতিষ্ঠ। যে কোনো সময় পিয়া আমাকে মেরে ফেলতে পারে বলে জানান কাউসার।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকল অফিসার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, কাওসারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে।
পিয়ার বাবা মোতালেব হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার মেয়েকে আমিই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। ঠুনকো ঘটনায় প্রায়ই ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, ছেলে ও স্বামীকে মারধর করে।
আমতলী থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র – যুগান্তর